কেরালার সবরিমালা মন্দির থেকে সোনা চুরির ঘটনায় এসআইটি (SIT) প্রধান অভিযুক্ত উন্নীকৃষ্ণান পোটির বেঙ্গালুরু অ্যাপার্টমেন্ট এবং বেল্লারি জুয়েলারি দোকানে অভিযান চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে।
তিরুবনন্তপুরম: কেরালার সবরিমালা মন্দির থেকে সোনা চুরির ঘটনায় বিশেষ তদন্ত দল (SIT) তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার এসআইটি (SIT) প্রধান অভিযুক্ত উন্নীকৃষ্ণান পোটির বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত অ্যাপার্টমেন্ট এবং বেল্লারির একটি জুয়েলারি দোকানে অভিযান চালিয়েছে।
তদন্তের জন্য পোটিকে শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে আনা হয়েছিল। এই সময়ে, জুয়েলারি দোকান গোবর্ধনও পরিদর্শন করা হয়, যেটি মন্দিরের শ্রীকোভিল (মূল গর্ভগৃহ) এর দরজায় সোনার আস্তরণের কাজ করেছিল। অভিযানে বেশ কয়েকটি সোনার বার জব্দ করা হয়েছে, তবে এটি এখনও স্পষ্ট নয় যে এগুলি ২০১৯ সালে দ্বারপালক মূর্তিগুলির প্লেটগুলির সাথে সম্পর্কিত কিনা।
চেন্নাইয়ের অফিসে পোটির রিমান্ড
তদন্তের পরবর্তী ধাপে পোটিকে চেন্নাইয়ের স্মার্ট ক্রিয়েশনস অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে ২০১৯ সালে ইলেকট্রোপ্লেটিং-এর কাজ হয়েছিল। রান্নি জুডিশিয়াল ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ইতিমধ্যেই পোটিকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এসআইটি-র হেফাজতে দিয়েছে।
এসআইটি-র উদ্দেশ্য হল এই সময়ের মধ্যে সমস্ত প্রাসঙ্গিক প্রমাণ সংগ্রহ করা। তদন্তে জানা গেছে যে পোটি ২০১৯ সালে ট্রাভাঙ্কোর দেবস্বোম বোর্ড (TDB) থেকে দ্বারপালক মূর্তিগুলির সোনার প্লেটগুলি ইলেকট্রোপ্লেটিং-এর জন্য নিয়েছিল এবং অনুমতি ছাড়াই সেগুলিকে বিভিন্ন মন্দির ও বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল।
দুটি মামলায় অভিযুক্ত পোটি
এই মামলায় পোটি দুটি প্রধান অভিযোগে জড়িয়ে পড়েছেন। প্রথমত, দ্বারপালক প্লেট থেকে সোনা চুরি এবং দ্বিতীয়ত, শ্রীকোভিল দরজার ফ্রেম থেকে সোনা চুরি। দ্বারপালক প্লেট থেকে সোনা চুরির মামলায় পোটিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় সম্প্রতি এসআইটি (SIT) প্রাক্তন সবরিমালা প্রশাসনিক কর্মকর্তা বি. মুরারী বাবুকেও গ্রেপ্তার করেছিল।
এসআইটি-র তদন্তে এটি স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে সোনার বারগুলি কীভাবে এবং কোন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কর্মকর্তাদের বক্তব্য, মন্দিরটির নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক জবাবদিহিতার দিক থেকে এই মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
এসআইটি-র তদন্ত চলছে
এসআইটি (SIT) পোটির শ্রীরামপুরাতে অবস্থিত অ্যাপার্টমেন্ট এবং আইয়াপ্পা মন্দিরও পরিদর্শন করেছে, যেখানে তিনি পূর্বে পুরোহিত ছিলেন। দলটি সমস্ত প্রাসঙ্গিক নথি, সোনার বার এবং ইলেকট্রোপ্লেটিং সম্পর্কিত প্রমাণ পরীক্ষা করছে। তদন্তকারীদের লক্ষ্য হল মামলার সমস্ত দিক উন্মোচন করা এবং নিশ্চিত করা যে সমস্ত চুরি যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়।












