বঙ্গের বন্যা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ কলকাতায় পুজোর উদ্বোধনকালে বলেন, উত্তর ভারতের জল যদি বাংলায় প্রবাহিত হয় এবং কেন্দ্র তা নিয়ন্ত্রণে না আনে, তাহলে রাজ্যও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। ২০১১ সাল থেকে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ পুকুর এবং ৫০০ চেক-ড্যাম তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই উদ্যোগ সত্ত্বেও উত্তর ভারতের জল পশ্চিমবঙ্গে প্রবাহিত হওয়ায় শহর ও গ্রামে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
উত্তর ভারতের জল বাংলায় প্রবাহিত
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের জল পশ্চিমবঙ্গে এসে বন্যার ঝুঁকি তৈরি করছে। কেন্দ্রকে বারবার ড্রেজিং ও জল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হলেও কার্যক্রম শুরু হয়নি।
বাংলার প্রস্তুতি ও উদ্যোগ
২০১১ সাল থেকে বাংলায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের অধীনে পাঁচ লক্ষ পুকুর খনন এবং ৫০০ চেক-ড্যাম তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা তৈরি হলেও, অতিবৃষ্টির সঙ্গে উত্তর ভারতের জল এসে সমস্যা বাড়াচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
মমতা বলেন, “আমাদের দিকে জল ঠেললে, আমরা সেই জল ফেরত সেই দিকেই ঠেলব। আমাদের বাঁচতে হবে। আমরা জানি কিভাবে জল নিয়ন্ত্রণ করা যায়।” তিনি জানান, রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে।
বিরোধী দলের প্রতিক্রিয়া
বিজেপি, বাম-কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলো জলাবদ্ধতার জন্য নবান্ন ও পুরসভার সমালোচনা করেছে। মমতা বলেছেন, বাংলার সরকার মৃত্যু বা বন্যাকে রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে দেখছে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর ভারতের জল যদি বাংলায় প্রবাহিত হয় এবং কেন্দ্র ড্রেজিং না করে, তাহলে রাজ্য পাল্টা জল ঠেলার ব্যবস্থা নেবে। কলকাতা ও অন্যান্য অঞ্চলে অতিবৃষ্টির কারণে জলস্তর বেড়েছে।