ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের মতে, ট্রাম্পের ৫০% রুশ তেল শুল্কের পর ভারতকে পুতিনের সাথে ফোনে কৌশল স্পষ্ট করতে হয়েছে। ভারত রাশিয়াকে সমর্থন করতে চায়, কিন্তু আমেরিকার চাপ সামলে ভারসাম্য বজায় রাখা চ্যালেঞ্জিং।
Trump Tariff: ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে ভারতের ওপর রুশ তেল কেনার জন্য আরোপিত শুল্ক মস্কোর ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে। রুটে বলেন, এই শুল্কের কারণে ভারত এখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে ফোনে তাদের কৌশল স্পষ্ট করার দাবি জানাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ও পুতিনের মধ্যে কৌশলগত আলোচনা
রুটের মতে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়াকে জিজ্ঞেস করেছেন যে ইউক্রেন নিয়ে তাদের কৌশল কী এবং ভারতকে আমেরিকা কর্তৃক আরোপিত ৫০% শুল্কের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রুটে জানান যে ভারত পুতিনকে এটা স্পষ্ট করতে চায় যে তারা রাশিয়াকে সমর্থন করে, কিন্তু আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
শুল্কের বিবরণ
গত মাসে ট্রাম্প প্রশাসন রুশ তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর ২৫% পারস্পরিক শুল্ক এবং অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেছিল। এর মোট প্রভাব ৫০% শুল্ক হিসাবে সামনে আসে। ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে ভারতের এই নীতি মস্কোকে সমর্থন করে এবং ইউক্রেনের ওপর হামলাকে উৎসাহিত করে। জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্প অনেক দেশের ওপর একই ধরনের পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করেছেন।
রুটের বিবৃতি এবং ন্যাটোর অবস্থান
নিউইয়র্কে ইউএনজিএ অধিবেশন চলাকালীন সিএনএন-এর সাথে আলাপকালে রুটে বলেন যে, এই শুল্কগুলো রাশিয়াকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাবিত করছে। তিনি বলেন যে ন্যাটো দেশগুলোর রুশ তেল কেনা বন্ধ করা উচিত। রুটে ট্রাম্পের অবস্থানের সমর্থন করেন এবং জানান যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি এখনও ১০০% নয়। রুশ তেল কেনা এই প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে।
আমেরিকার বার্তা
১৩ সেপ্টেম্বর ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন যে, যতক্ষণ না সমস্ত ন্যাটো দেশ রুশ তেল কেনা বন্ধ করে, ততক্ষণ তিনি রাশিয়ার ওপর "বড় নিষেধাজ্ঞা" আরোপ করতে প্রস্তুত। তার এই অবস্থান রাশিয়া এবং তার সমর্থনে থাকা দেশগুলোর জন্য চাপের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারতের কৌশলগত চ্যালেঞ্জ
রুটের দাবি অনুযায়ী, ভারত এখন একটি সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে রয়েছে। একদিকে তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনার সমর্থন করতে চায়, অন্যদিকে আমেরিকা কর্তৃক আরোপিত ৫০% শুল্কের কারণে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির পুতিনের সাথে আলোচনার উদ্দেশ্য হলো এই ভারসাম্য বজায় রাখা এবং ভারতের স্বার্থ রক্ষা করা।