ইউটিউব— এক ক্লিকেই কোটি কোটি ভিডিওর ভান্ডার। বিনোদন থেকে শিক্ষা, গান থেকে সিনেমা— সবই এখানে মজুত। কিন্তু এই বিশাল ভান্ডারে এমন একটি ভিডিও আছে, যা আপলোড হওয়ার নয় বছর পরও ভিউয়ের দৌড়ে অন্য সব রেকর্ড ভেঙে এগিয়ে চলছে। বয়স, ভাষা, দেশ— কোনও সীমানা মানে না এই ভিডিওর জনপ্রিয়তা।
ইউটিউবের অসংখ্য ভিডিওর মধ্যে একটিই তৈরি করেছে বিশ্বরেকর্ড, যা এখনও সমান জনপ্রিয়।
ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থানের আগেই ইউটিউব মানুষের দৈনন্দিন বিনোদনের অংশ ছিল। সেখানেই ২০১৬ সালে আপলোড হওয়া এক শিশুতোষ গানের ভিডিও ধীরে ধীরে হয়ে ওঠে সর্বকালের ‘মোস্ট-ভিউড’ ভিডিও। ভিউ সংখ্যা কোটি থেকে বিলিয়নে পৌঁছে যায় চোখের পলকে।
OTT-এর আগেই ইউটিউবে এক গান হয়ে ওঠে বিশ্বব্যাপী ‘ভিউ মেশিন’।
শিশুদের জন্য বানানো হলেও ‘Baby Shark Dance’-এর তালে নেচেছে বড়রাও। স্কুলের অনুষ্ঠান, জন্মদিনের পার্টি, এমনকি খেলাধুলার ময়দানেও বাজতে শুরু করে এই গান। হাসি, আনন্দ আর নাচের ছন্দে ভরে ওঠে পরিবেশ।
শিশুদের গান হলেও বড়দের মনও জয় করে নেয় ‘Baby Shark Dance’।
১৭ জুন ২০১৬— দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি পিংকফং (Pinkfong) আপলোড করে এই ভিডিও। পর্দায় দুই শিশু, সঙ্গে শার্ক পরিবার। গান গেয়েছেন মাত্র ১০ বছরের কোরিয়ান-আমেরিকান গায়িকা হোপ সেগোইন (Hope Segoine)। ২০২০ সালে ‘Despacito’-কে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে আসে এই গান।
১০ বছরের গায়িকার কণ্ঠে তৈরি গান, যা ‘Despacito’-কেও হার মানিয়েছে।
গল্পটা সহজ— শার্ক পরিবারের অভিযান, মাছের পিছু ধাওয়া, আর শেষে সেই মাছের নিরাপদে পালিয়ে যাওয়া। সুরে ডভোরজাকের Symphony No. 9-এর ছোঁয়া, যা আবার মনে করিয়ে দেয় ‘Jaws’ সিনেমার থিম মিউজিক। গানের কথা এতটাই সহজ ও মজাদার যে শিশুরা মুহূর্তেই মুখস্থ করে ফেলে।
মজার গল্প, সহজ সুর— যা ছোটদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
এখন পর্যন্ত এই ভিডিওর ভিউ সংখ্যা ১৬.১৫ বিলিয়ন! প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে সেই সংখ্যা। শুধু শিশুদের বিনোদন নয়, ডিজিটাল দুনিয়ার ইতিহাসেও এটি এক বিরল মাইলফলক। Billboard Hot 100-এ জায়গা পেয়েছে গানটি, আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ‘Baby Shark Challenge’।