বেরিলিতে ধর্মান্তর চক্রের পর্দাফাঁস, মূল পান্ডা সহ গ্রেপ্তার ৪

বেরিলিতে ধর্মান্তর চক্রের পর্দাফাঁস, মূল পান্ডা সহ গ্রেপ্তার ৪

উত্তর প্রদেশের বেরিলি জেলায় ছাঙ্গুর গ্যাংয়ের মতো কার্যকলাপ চালানো একটি নতুন চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছে। পুলিশ এই চক্রের মূল পান্ডা আব্দুল মজিদ সহ সালমান, আরিফ এবং ফাহিমকে গ্রেপ্তার করেছে। 

বেরিলি: উত্তর প্রদেশে ছাঙ্গুর বাবা গ্যাংয়ের মতো কার্যকলাপ চালানো একটি চক্র ধরা পড়েছে। এই চক্রের মূল পান্ডা আব্দুল মজিদ, যে একটি মাদ্রাসা চালায়। পুলিশ আব্দুল মজিদের সাথে সাথে চক্রের অন্যান্য সদস্য সালমান, আরিফ এবং ফাহিমকেও গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে, এই চক্রটি সারা দেশে বহু লোককে ধর্মান্তরিত করেছে। 

বেরিলিতে এই চক্রের মাধ্যমে একটি পুরো পরিবার এবং অন্য দুটি পরিবারের সদস্যরাও ধর্মান্তরিত হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং গভীরভাবে তদন্ত চালাচ্ছে।

চক্রের পর্দাফাঁস 

চক্রের মূল পান্ডা আব্দুল মজিদ একটি মাদ্রাসা চালায় এবং ধর্মান্তরের প্রধান কাজ করে। চক্রের অন্যান্য সদস্যরা আলাদা আলাদা দায়িত্ব পালন করত।

  • সালমান – সুভাষ নগর থানা এলাকার বাসিন্দা, সেলাইয়ের কাজ করে। সে চক্রের জন্য লোকজনকে ফাঁদে ফেলে ইসলামী বই, সিডি এবং ধর্মীয় গ্রন্থ সরবরাহ করত।
  • আরিফ – কারেলির বাসিন্দা, সে সালমানের কাজে সাহায্য করত।
  • ফাহিম – চুল কাটার কাজ করে। চক্রের জন্য লোকজনের পরিচয় বের করা এবং তাদের তথ্য অন্য সদস্যদের কাছে পাঠানো ছিল তার প্রধান কাজ।

পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি প্রথমে ব্রিজপাল এবং তার পুরো পরিবারকে ধর্মান্তরিত করে। এরপর চক্রটি প্রভাত উপাধ্যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদেরও নিশানা করে। চক্রের পরবর্তী লক্ষ্য ছিল বিকম-এর এক ছাত্র, কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে তাকে ধরে ফেলে।

বিদেশিFunding-এর আশঙ্কা

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, চক্রটি বিদেশি Funding-এর মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য নিত। আব্দুল মজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে গত আট মাসে দুই হাজারের বেশি লেনদেন হয়েছে, যার মোট পরিমাণ প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। সালমান ও তার স্ত্রীর ১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে আরিফ ও ফাহিমের দুটি করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

পুলিশ সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য বের করে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সকল সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং জানার চেষ্টা চলছে চক্রের নেটওয়ার্ক দেশজুড়ে কতটা বিস্তার লাভ করেছে। চক্রের কাজকর্ম এবং কার্যকলাপের মধ্যে ছাঙ্গুর গ্যাংয়ের সাথে সাদৃশ্য পাওয়া গেছে। এই ধরণের চক্রগুলো মানসিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টি করে লোকজনের ধর্ম পরিবর্তন করায়। 

পুলিশের বক্তব্য, ব্রেইনওয়াশ কৌশল এবং আর্থিক শক্তি ব্যবহার করে চক্রটি তাদের কাজ সম্পন্ন করত। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চক্রের সদস্যরা বহু বছর ধরে স্থানীয় এবং অন্যান্য রাজ্যে ধর্মান্তরকরণের কাজ করছিল।

Leave a comment