কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাওনীত বিট্টু পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, যখন ভগবন্ত মান একজন কৌতুক অভিনেতা ছিলেন, তখন তিনি তাঁর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদক ও দুর্নীতির মহিমান্বিত করতেন।
চণ্ডীগড়: পঞ্জাবের রাজনীতিতে আজকাল একটি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা রাওনীত বিট্টু পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের পুরনো কমেডি শো নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করে বলেছেন যে তাঁর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাদক, দুর্নীতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ঘুষের মতো বিষয়গুলিকে মহিমান্বিত করা হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ২০২৭ সালে যদি পঞ্জাবে বিজেপি সরকার গঠিত হয়, তাহলে এই পুরনো শো-গুলির অবশ্যই তদন্ত করা হবে। রাওনীত বিট্টুর এই মন্তব্য পঞ্জাবের রাজনীতিতে একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
রাওনীত বিট্টুর অভিযোগ - কমেডির নামে দুর্নীতি ও মাদককে স্বাভাবিক হিসেবে দেখানো
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাওনীত বিট্টু লুধিয়ানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ভগবন্ত মান যখন কৌতুক অভিনেতা ছিলেন, তখন তিনি তাঁর জনপ্রিয় কমেডি শো 'জুগনু কেহন্দা হ্যায়' এবং 'জুগনু মাস্ত মাস্ত'-এর মাধ্যমে মাদক, ঘুষ ও দুর্নীতির মতো বিষয়গুলি নিয়ে হাসাহাসি করতেন এবং পরোক্ষভাবে এগুলিকে সাধারণ জীবনের অংশ হিসেবে তুলে ধরতেন।
বিট্টু অভিযোগ করেছেন যে, ওই শো-গুলিতে বারবার এমন কিছু প্রসঙ্গ আনা হয়েছে, যা থেকে এই বার্তা গেছে যে 'পঞ্জাবে মদ্যপান, ঘুষ ও দুর্নীতি একটি সাধারণ ঘটনা।' তিনি আরও দাবি করেছেন যে, ভগবন্ত মানের সেই চিন্তাভাবনা আজও তাঁর শাসনে দেখা যাচ্ছে।
২০২৭ সালে সরকার গঠিত হলে তদন্ত হবে: রাওনীত বিট্টু
রাওনীত বিট্টু স্পষ্টভাবে বলেছেন, "এটা নিছক কাকতালীয় হতে পারে না যে ভগবন্ত মানের শো-তে বারবার মদ্যপান, মাদক, ঘুষের মতো বিষয়গুলিকে মহিমান্বিত করা হয়েছে। যদি ২০২৭ সালে পঞ্জাবে বিজেপি সরকার গঠিত হয়, তাহলে এই অনুষ্ঠানগুলি এবং এর পেছনের মানসিকতার গভীর তদন্ত করা হবে। কারা এর অংশ ছিল, কার নির্দেশে এই সব হতো, তা সবার সামনে আনা হবে।"
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি একসময় কমেডির নামে শিক্ষা, প্রশাসন, পুলিশ, সরকারি ব্যবস্থার সঙ্গে মশকরা করতেন, তিনি আজ শিক্ষা বিপ্লবের কথা বলছেন, এই দ্বিচারিতা পঞ্জাবের মানুষ বুঝতে পেরেছে।
শিক্ষা বিপ্লব পরিকল্পনা নিয়েও আক্রমণ
রাওনীত বিট্টু পঞ্জাব সরকারের 'শিক্ষা বিপ্লব পরিকল্পনা' নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নিজে তাঁর কমেডি শো-গুলিতে শিক্ষক এবং শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মশকরা করতেন, তিনি কীভাবে যুবকদের উন্নত শিক্ষা এবং মাদক থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখাতে পারেন? তিনি আরও বলেন যে, ভগবন্ত মানের সরকারের নীতিগুলি কেবল প্রচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ, মাঠ পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
রাওনীত বিট্টু এও অভিযোগ করেছেন যে, ভগবন্ত মান এবং বাদল পরিবারের মধ্যে গোপন আঁতাত রয়েছে। দুজনেই আলাদা আলাদা সময়ে পঞ্জাবে মাদক মাফিয়া ও মাদক ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, "একজন ক্ষমতায় থাকাকালীন এটা করেছেন, অন্যজন এখন করছেন। পার্থক্য শুধু চেহারার, উদ্দেশ্য সেই পুরনোই।" বিট্টুর মতে, পঞ্জাবে যুবকদের মাদক থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে, বর্তমান সরকারও সেই পুরনো ভুলগুলিই दोहराচ্ছে।