রাজস্থানের ভরতপুরে বন্যার মধ্যে একটি বেসরকারি বাসের চালক ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে নদী পার হন। প্রবল স্রোত এবং বন্ধ রাস্তা থাকা সত্ত্বেও যাত্রীদের প্রাণ বাঁচে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভরতপুর: রাজস্থানের ভরতপুর জেলায় বন্যার মধ্যে ৪৫ জন যাত্রী বোঝাই একটি বাসকে নদীর প্রবল স্রোতে পার হতে দেখে সকলের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাটি উচ্চৈন থানা এলাকার সেওলা হেডের কাছে ঘটেছে, যেখানে করৌলি এবং ধौलপুরকে সংযোগকারী রাস্তায় করৌলি জেলার পাঁচনা বাঁধ থেকে ছাড়া জল গম্ভীর নদীতে পৌঁছয়।
বাসের চালক এই ভয়ঙ্কর নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করেন। ভাগ্য ভালো যে বাসটি নিরাপদে পার হয়ে যায়, নইলে সামান্য ভুল হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
ভরতপুরে বাস আটকে যাওয়ায় যাত্রীদের জীবন বিপন্ন
ভরতপুরে ঘটা এই ঘটনার সময় চারদিকে জলের স্রোতের শব্দ এবং বাসের টলমলে অবস্থা যাত্রীদের জন্য জীবন সংশয় তৈরি করে। জানা যায় যে বাসটি রুদাওয়াল থেকে ভরতপুরের দিকে আসছিল এবং রাস্তা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে কোনো গাড়িকে জলে নামানো শুধু ভুল নয়, আইনত অপরাধও বটে। যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা এই কাজ প্রশাসন ও পুলিশের কঠোরতা প্রয়োজন বুঝিয়ে দেয়।
ভরতপুর বাস দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হচ্ছে। মানুষজন চালকের অসাবধানতা এবং ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে কিভাবে প্রবল স্রোত থাকা সত্ত্বেও বাসচালক ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নেন এবং জলের মধ্যে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেন।
প্রশাসন সতর্ক করেছে যে বন্যা কবলিত এলাকায় রাস্তা এবং নদীর ধারে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করবেন না। এই ধরনের প্রচেষ্টা শুধু প্রাণের ঝুঁকি নয়, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের লঙ্ঘনও বটে।
যাত্রী ও গ্রামবাসীদের নিরাপত্তার সতর্কতা
ভরতপুর প্রশাসন যাত্রী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে ভয়ঙ্কর নদী এবং জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়া এলাকায় কোনো গাড়ি বা ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেবেন না। আগামী দিনে প্রশাসন সতর্কতা বাড়ানো, সতর্কীকরণ বোর্ড লাগানো এবং নজরদারি জোরদার করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে বৃষ্টি এবং বন্যার মৌসুমে এই ধরনের ঘটনা সাধারণ, তাই প্রশাসনিক নির্দেশিকাগুলি মেনে চলা খুবই জরুরি।