ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো শেরিং টোবগে সস্ত্রীক ভারত সফরে এসে শুক্রবার পৌঁছালেন অযোধ্যায়। অযোধ্যা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সুর্য প্রতাপ। এরপর তিনি পরিবারের সঙ্গে রামমন্দিরে গিয়ে বিশেষ পূজা অর্চনা করবেন।
ভারত সফরে এলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী: শুক্রবার অযোধ্যা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন দাসো শেরিং টোবগে ও তাঁর স্ত্রী। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সুর্য প্রতাপ শাহী। সরকারি সূত্রে খবর, তিনি সরাসরি রামমন্দিরে গিয়ে পূজা দেবেন এবং অযোধ্যার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ঘুরে দেখবেন।
অযোধ্যায় পৌঁছলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ভারত সফরের অংশ হিসেবে শুক্রবার ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো শেরিং টোবগে পৌঁছান অযোধ্যায়। এদিন বিকেলে বিশেষ বিমানে করে তিনি নামেন অযোধ্যা বিমানবন্দরে। সেখানে তাঁকে ঐতিহ্যবাহী অভ্যর্থনা জানান উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী সুর্য প্রতাপ শাহী।
রামমন্দিরে পূজা অর্চনা করবেন
অভ্যর্থনার পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী সরাসরি রামমন্দিরের উদ্দেশে রওনা হন। জানা গিয়েছে, অযোধ্যা সফরের মূল উদ্দেশ্যই হল রামলালার দর্শন ও পূজা অর্চনা। টোবগে দম্পতির এই সফরে ভারত-ভুটান সাংস্কৃতিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে বলে মত কূটনৈতিক মহলের।
ভারত-ভুটান সম্পর্কের মজবুত বার্তা
বিশেষজ্ঞদের মতে, রামমন্দির সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার চেষ্টা করছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত ও ভুটানের মধ্যে কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। অযোধ্যা সফর সেই সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সফরের গুরুত্ব :সরকারি সূত্রে খবর, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতেও ভারতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তবে অযোধ্যা সফরের গুরুত্ব আলাদা, কারণ এটি ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক স্তরে দুই দেশের জনগণের মধ্যে এক সেতুবন্ধনের বার্তা বহন করছে।ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো শেরিং টোবগের এই সফর শুধু রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একটি বড় পদক্ষেপ। অযোধ্যার রামমন্দিরে তাঁর পূজা অর্চনা ভারত-ভুটান সম্পর্ককে নতুন মাত্রা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাঠকরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন সফরের পরবর্তী কর্মসূচির সব আপডেট জানতে।