মুখ্যমন্ত্রী মহিলা কর্মসংস্থান প্রকল্প: বিহারে মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত

মুখ্যমন্ত্রী মহিলা কর্মসংস্থান প্রকল্প: বিহারে মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত

বিহার সরকার মহিলাদের কর্মসংস্থান প্রদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মহিলা কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করেছে। এর অধীনে, প্রতিটি পরিবারের একজন মহিলা 10 হাজার টাকা পাবেন। পরবর্তীতে, কর্মসংস্থানের অগ্রগতির উপর নির্ভর করে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করা হবে।

पटना। বিহারের নীতীশ কুমার সরকার মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মহিলা কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের একজন মহিলাকে নিজের কর্মসংস্থান শুরু করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

মুখ্যমন্ত্রী মহিলা কর্মসংস্থান প্রকল্পের উদ্দেশ্য কী?

প্রকল্পের অধীনে, প্রতিটি পরিবারের একজন মহিলাকে 10 হাজার টাকা প্রথম কিস্তি হিসেবে দেওয়া হবে যাতে তিনি নিজের ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এরপর যদি মহিলার ব্যবসা সঠিকভাবে চলতে শুরু করে, তবে সরকার তার অগ্রগতি মূল্যায়ন করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত সহায়তাও প্রদান করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করার পাশাপাশি রাজ্যের অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করার আশা করা হচ্ছে।

কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন?

সরকার স্পষ্ট করেছে যে প্রকল্পের অধীনে "পরিবার" বলতে স্বামী, স্ত্রী এবং তাদের অবিবাহিত সন্তানদের বোঝানো হবে। অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা যাদের পিতামাতা জীবিত নেই, তাদের একক পরিবার হিসাবে গণ্য করা হবে এবং তারাও প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও, শহরাঞ্চলে স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী (SHG) এর সাথে যুক্ত মহিলারাও এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।

যোগ্যতার শর্তাবলী:

  • আবেদনকারীর বয়স 18 থেকে 60 বছরের মধ্যে হতে হবে।
  • আবেদনকারী নিজে বা তাদের স্বামী আয়করদাতা হতে পারবেন না।
  • আবেদনকারী নিজে বা তাদের স্বামী কোনো ধরনের সরকারি চাকরিতে (নিয়মিত/চুক্তিভিত্তিক) থাকতে পারবেন না।
  • শহরাঞ্চলের মহিলাদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

শহরাঞ্চলের মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে জীবিকার (Jivika) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.brlps.in) গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

আবেদনের সময় যে তথ্য চাওয়া হবে:

  • মোবাইল নম্বর
  • আধার সংখ্যা
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বিবরণ (অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড ইত্যাদি)
  • কর্মসংস্থানের ধরণ

এর পাশাপাশি, আবেদনকারীকে আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক পাসবুক, ছবি এবং স্বাক্ষরের স্ক্যান কপিও আপলোড করতে হবে।

শহুরে মহিলাদের জন্য জরুরি বিষয়:

  • প্রকল্পের সুবিধা পেতে মহিলাদের স্ব-সহায়ক গোষ্ঠী (SHG) এর সাথে যুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক।
  • যে মহিলারা ইতিমধ্যেই SHG এর সাথে যুক্ত আছেন, তাদের পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
  • যে মহিলারা এখনও SHG এর সাথে যুক্ত নন, তারা প্রথমে অনলাইনে আবেদন করবেন। এরপর কমিউনিটি রিসোর্স পারসন (Community Resource Person) তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন এবং তাদের গোষ্ঠীভুক্ত করা হবে। গোষ্ঠীভুক্ত হওয়ার পরেই তারা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
  • সমস্ত অনলাইন আবেদনের শারীরিক যাচাইকরণও করা হবে যাতে নিশ্চিত করা যায় যে আবেদনকারী সত্যিই বিহারের বাসিন্দা।

গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

  • গ্রামীণ এলাকায় এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে জীবিকা স্ব-সহায়ক গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত মহিলারা যোগ্য হবেন।
  • মহিলারা তাদের গ্রাম সংগঠনে গিয়ে আবেদন করবেন।
  • গ্রাম সংগঠনের একটি বিশেষ সভায় সকল সদস্যের আবেদন একটি সমন্বিত ফর্মে নেওয়া হবে।

যে মহিলারা SHG এর সাথে যুক্ত নন, তাদের প্রথমে সংশ্লিষ্ট গ্রাম সংগঠনে নির্ধারিত ফর্মে জমা দিয়ে SHG এর সদস্যপদ নিতে হবে। তারপরই তারা প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।

মহিলারা বড় সুবিধা পাবেন

এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা ছোট আকারের কর্মসংস্থান শুরু করার জন্য পুঁজির চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন। সরকার প্রথমে তাদের 10 হাজার টাকা দেবে এবং যদি তাদের ব্যবসা সফল হয়, তবে 2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থও সরবরাহ করা হবে। এইভাবে, মহিলারা ধীরে ধীরে আত্মনির্ভরশীল হয়ে শুধু নিজেদের জীবনকেই উন্নত করবেন না, পরিবার ও সমাজের অর্থনৈতিক অবস্থাকেও উন্নত করবেন।

Leave a comment