ত্বকের সমস্যায় জর্জরিত আধুনিক মানুষ আজকাল ব্যয়বহুল ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করলেও, সব সময়ে কাঙ্ক্ষিত ফল মেলে না। রাসায়নিক মেশানো পণ্য ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। তাই ঘরোয়া সমাধানই হয়ে উঠছে ভরসার জায়গা। সেই তালিকায় রয়েছে চালের গুঁড়ো, যা আয়ুর্বেদ থেকে আধুনিক গবেষণা—সব জায়গাতেই স্বীকৃতি পেয়েছে।
চালের গুঁড়োর গুণাগুণ
চালের গুঁড়োতে রয়েছে ভিটামিন বি, ফেরুলিক অ্যাসিড, অ্যালানটোইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলি ত্বককে পুষ্টি জোগায়, বার্ধক্যের ছাপ কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। স্টার্চ থাকার কারণে এটি শীতল প্রভাব দেয়, ফলে জ্বালা বা লালচেভাব কমে যায়।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
চালের গুঁড়ো দিয়ে সহজেই ফেসপ্যাক, স্ক্রাব বা ক্লিনজার তৈরি করা যায়।
ফেসপ্যাক: দুধ বা গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান।
স্ক্রাব: মধু মিশিয়ে হালকা হাতে ঘষুন।
ক্লিনজার: অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে মুখ সতেজ হয়।
কোন সমস্যায় কাজে আসে?
শুষ্ক ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে
কালো দাগ ও ব্রণ কমাতে
মৃত কোষ সরিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে
লালভাব, ফোলাভাব বা অ্যালার্জি প্রশমনে
সতর্কবার্তা ও সীমাবদ্ধতা
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ব্যবহার করলে চালের গুঁড়ো ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সরিয়ে ফেলে, যার ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। সংবেদনশীল ত্বকে এটি জ্বালা বা ফুসকুড়ি তৈরি করতে পারে। এছাড়া সঠিকভাবে ধোয়া না হলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করা জরুরি।
প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে চালের গুঁড়ো প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও শীতল প্রভাব, যা ত্বকের শুষ্কতা, লালচেভাব ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভুল ব্যবহার করলে উল্টো সমস্যা বাড়তে পারে।