হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) इसरो থেকে স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV) তৈরির প্রযুক্তি পেয়েছে। ২৪ মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম রকেট প্রস্তুত হবে। কোম্পানি ১০ বছর ধরে উৎপাদনের দায়িত্ব পেয়েছে। এই খবরে HAL-এর শেয়ারের দামে তেজি দেখা গেছে।
HAL Share Price: হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) इसरो থেকে স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV) তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তর পেয়েছে। এই চুক্তিটি IN-SPACe দ্বারা সমন্বিত ১০০তম প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তি। ২৪ মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে HAL ২০২৭ সালের মধ্যে প্রথম SSLV রকেট তৈরি করবে। এরপর কোম্পানি ১০ বছর ধরে উৎপাদনের দায়িত্বে থাকবে। এই কৌশলগত চুক্তির মাধ্যমে HAL শুধুমাত্র একটি যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী হিসেবেই নয়, বরং একটি স্যাটেলাইট লঞ্চিং সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবেও উঠে আসবে।
ইসরো HAL-কে SSLV প্রযুক্তি হস্তান্তর করেছে
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) তাদের স্মল স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SSLV) প্রযুক্তি HAL-কে হস্তান্তর করেছে। এই হস্তান্তরটি ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সেন্টার (ইন-স্পেস) দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি ১০০তম প্রযুক্তি হস্তান্তর চুক্তিও বটে। SSLV প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় ৫০০ কেজি-র কম ওজনের উপগ্রহগুলিকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে, অর্থাৎ লোয়ার আর্থ অরবিট (LEO)-এ পাঠানোর জন্য।
কেন এই প্রযুক্তি হস্তান্তর গুরুত্বপূর্ণ
ইসরো এবং HAL-এর মধ্যে এই চুক্তিটি ভারতের মহাকাশ শিল্পকে শক্তিশালী করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ছোট এবং সাশ্রয়ী রকেট উৎপাদন সম্ভব হবে। এছাড়াও, এটি ভারতকে বিশ্বব্যাপী সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য লঞ্চ পরিষেবা প্রদানকারী দেশগুলির তালিকায় আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
২৪ মাসের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে
প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া আগামী ২৪ মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর HAL ২০২৭ সালের মধ্যে তাদের প্রথম SSLV রকেট তৈরি করবে। এই সময়সীমার মধ্যে কোম্পানি ডিজাইন থেকে শুরু করে উৎপাদন এবং গুণমান নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পাবে।
১০ বছর ধরে উৎপাদনের দায়িত্ব
এই চুক্তির অধীনে HAL-কে ১০ বছর ধরে SSLV রকেট উৎপাদনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোম্পানি এর জন্য একটি নন-এক্সক্লুসিভ এবং নন-ট্রান্সফারেবল লাইসেন্স পেয়েছে। এর অধীনে ডিজাইন, নির্মাণ, একত্রীকরণ, উৎক্ষেপণ পরিচালনা, উৎক্ষেপণ পরবর্তী বিশ্লেষণ এবং প্রশিক্ষণের মতো সমস্ত দায়িত্ব HAL-এর উপর থাকবে।
এখন পর্যন্ত HAL প্রধানত মহাকাশ এবং প্রতিরক্ষা খাতের জন্য পরিচিত ছিল। কিন্তু এই চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানি শুধুমাত্র একটি যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী হিসেবেই থাকবে না, বরং একটি গণ-উৎপাদনকারী পরিষেবা সরবরাহকারী হিসেবে উঠে আসবে। দ্রুত বর্ধনশীল ছোট উপগ্রহ বাজারে HAL-এর উপস্থিতি এটিকে একটি প্রধান খেলোয়াড় করে তুলতে পারে।
শেয়ার বাজারে প্রভাব
এই বড় খবরটির প্রভাব সরাসরি শেয়ার বাজারে দেখা গেছে। HAL-এর শেয়ার মঙ্গলবার ৯১.৫০ টাকা অর্থাৎ ২.০৫ শতাংশ বেড়ে ৪৫৪৫ টাকায় পৌঁছেছে। দুপুর সোয়া একটায় কোম্পানিটির শেয়ার BSE-তে দ্রুত গতিতে লেনদেন হচ্ছিল। বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন যে এই নতুন অর্ডার এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর কোম্পানির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।
SSLV কিভাবে কাজ করে
SSLV হল একটি তিন-পর্যায়ের লঞ্চ ভেহিকেল। এটি বিশেষভাবে ছোট উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি দ্রুত উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় এবং এর খরচ বড় রকেটের তুলনায় অনেক কম। ছোট উপগ্রহের চাহিদা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে, তাই এই প্রযুক্তির গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়।