কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৮ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর পাটনায় বিজেপি নেতাদের সাথে এনডিএ-র নির্বাচনী রণনীতি নিয়ে বৈঠক করবেন। এতে আসন ভাগাভাগি, প্রার্থী নির্বাচন এবং প্রচার অভিযান নিয়ে আলোচনা করা হবে।
বিহার নির্বাচন ২০২৫: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৮ এবং ২৭ সেপ্টেম্বর পাটনায় বিজেপি নেতাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। এই বৈঠকগুলিতে এনডিএ-র আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের রণনীতি নির্ধারিত হবে। অমিত শাহের এই সফর নির্বাচনী প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এতে আসন ভাগাভাগি, প্রার্থী নির্বাচন এবং নির্বাচন প্রচার অভিযান চূড়ান্ত করা হবে।
বিজেপি-র বিহার শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করে নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। এই সময়ে, এনডিএ-তে সমন্বয় স্থাপনের জন্য সহযোগী দলগুলির নেতাদের সাথেও আলোচনা করা হবে।
বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয়
বৈঠকগুলির মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনী রণনীতি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া। অমিত শাহ প্রার্থী নির্বাচন, আসন বন্টন এবং প্রচার অভিযানের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। এর সাথে, মাঠ পর্যায় থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করা হবে। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়सवाल জানিয়েছেন যে শাহ বিহারকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে বৈঠক করবেন। এই অঞ্চলগুলি হলো: মগধ-শাহাবাদ, কোশী, সীমাঞ্চল, মিথিলা এবং সারণ-চম্পারণ। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য আলাদা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দলীয় কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতাদের মতামত নেওয়া হবে।
আচার संहिता কার্যকর হওয়ার আগে রণনীতি চূড়ান্ত
অমিত শাহের এই সফর আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার আগে হচ্ছে, যাতে সময়মতো নির্বাচনী রণনীতি চূড়ান্ত করা যায়। বৈঠকে এনডিএ-র সহযোগী দলগুলির নেতাদের সাথে সমন্বয়ের উপরও জোর দেওয়া হবে। জেডিইউ, লোক জনশক্তি পার্টি-রামবিলাস, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার মতো দলগুলির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে অঞ্চলভিত্তিক সমীকরণের ভিত্তিতে প্রার্থী এবং নির্বাচনী বিষয়গুলি নির্ধারণ করা হবে। এভাবে এই বৈঠক এনডিএ-র শক্তি বৃদ্ধি এবং জোটের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
আসন ভাগাভাগি এবং প্রার্থী নির্বাচন
বৈঠকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বিজেপি বিহারে পাঁচটি অঞ্চলে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিটি অঞ্চলের জন্য সম্ভাব্য প্রার্থী এবং নির্বাচনী বিষয়গুলি নির্বাচন করা হবে। অমিত শাহ এই বৈঠকগুলিতে মাঠ থেকে আসা প্রতিবেদন এবং ডেটা অধ্যয়ন করবেন। এর ভিত্তিতে, দলীয় কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতাদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়াটি এনডিএ-র জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং জেপি নাড্ডার বিহার সফর
অমিত শাহের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণিয়ায় জনসভা করতে বিহারে আসছেন। এই সময়ে তিনি পূর্ণিয়া বিমানবন্দর, পাটনা মেট্রো ট্রেন, দানাপুর-জোগবানী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এর আগে বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও ১৩ সেপ্টেম্বর পাটনা সফরে আসতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় সভাপতির সফর দলীয় কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়াতে এবং নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।
প্রচার অভিযান এবং রোডম্যাপ
বৈঠকে নির্বাচনী প্রচার অভিযান এবং রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা হবে। অমিত শাহ মাঠ থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে প্রচারের রূপরেখা নির্ধারণ করবেন। এতে সোশ্যাল মিডিয়া রণনীতি, জনসভার পরিকল্পনা, অঞ্চলভিত্তিক প্রচার এবং স্থানীয় বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি নিশ্চিত করা হবে যে নির্বাচনী বার্তা স্পষ্টভাবে এবং কার্যকরভাবে জনসাধারণের কাছে পৌঁছায়।
এনডিএ-তে সহযোগী দলগুলির সাথে সমন্বয়
বৈঠকে সহযোগী দলগুলির নেতাদের সাথে সমন্বয় বাড়ানোর উপরও জোর দেওয়া হবে। জেডিইউ, এলজেপি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতাদের সাথে বসে জোটের শক্তি এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি দলের জন্য সম্ভাব্য আসন এবং তাদের প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে। এতে এনডিএ-র নির্বাচনী শক্তি বাড়বে এবং জোটের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে।
বিহারের পাঁচটি অঞ্চলে নির্বাচনী প্রস্তুতি
বিজেপি বিহারকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে নির্বাচনের রণনীতি তৈরি করেছে। মগধ-শাহাবাদ, কোশী, সীমাঞ্চল, মিথিলা এবং সারণ-চম্পারণ অঞ্চল অনুসারে দলীয় কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতারা প্রতিক্রিয়া জানাবেন। প্রতিটি অঞ্চলের নির্বাচনী পরিস্থিতি এবং জনগণের মনোভাবের ভিত্তিতে রণনীতি তৈরি করা হবে। এই প্রক্রিয়াটি এনডিএ-র জয়ের জন্য निर्णायक প্রমাণিত হবে।