বিহার SIR মামলা: আধার ও ভোটার আইডি বৈধ নথি, জানালো সুপ্রিম কোর্ট

বিহার SIR মামলা: আধার ও ভোটার আইডি বৈধ নথি, জানালো সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট বিহার SIR মামলায় আধার ও ভোটার আইডিকে বৈধ নথি হিসেবে গণ্য করার উপর জোর দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের बहिष्कार নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ার পক্ষে কথা বলেছে।

Bihar SIR Case: বিহারের ভোটার তালিকা বিশেষ সংশোধন (Special Intensive Revision - SIR) নিয়ে চলা বিতর্কের উপর সুপ্রিম কোর্ট সোমবার শুনানির সময় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। আদালত স্পষ্ট করেছে যে আধার কার্ড এবং ভোটার পরিচয়পত্র (EPIC) কে বৈধ নথি হিসাবে গ্রহণ করা উচিত। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী-র বেঞ্চ ভারতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI) কর্তৃক এই দুটি প্রধান নথিকে যাচাইয়ের জন্য প্রত্যাখ্যান করার ইচ্ছার উপর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আদালত কেন প্রশ্ন তুলেছে

শুনানির সময় আদালত বলেছে যে যেকোনো নথির জালিয়াতি সম্ভব, তাই শুধুমাত্র আধার এবং EPIC-কে আলাদা করে রাখা উচিত নয়। আদালত স্পষ্ট করে বলেছে যে যখন অন্য ১১টি নথিকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, তখন আধার এবং EPIC-কে বাইরে রাখার কোনো যৌক্তিক ভিত্তি নেই। আদালত বলেছে, "আপনি কাল বলতে পারেন যে এই ১১টি নথিও জাল। এটি একটি ভিন্ন বিষয়, তবে এই যুক্তিতে আমরা এই দুটি নথিকে আলাদা করতে পারি না।"

নির্বাচন কমিশনের যুক্তি এবং আদালতের প্রতিক্রিয়া

ECI-এর পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য আধার বা EPIC-কে প্রয়োজনীয় নথি হিসেবে গণ্য করা হয়নি। কিন্তু আদালত এর উপর প্রশ্ন তুলে জিজ্ঞাসা করেছে যে যখন রেজিস্ট্রেশন ফর্মে আধারের তথ্য চাওয়া হয়, তখন তাকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধা কেন। আদালত নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে যে আধার এবং EPIC-কে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন।

অন্তর্ভুক্তি বনাম बहिष्कार: আদালতের অবস্থান

শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট একটি বড় কথা বলেছে। আদালত বলেছে যে নথির ক্ষেত্রে "গণ बहिष्कार" নয় বরং "গণ অন্তর্ভুক্তি" হওয়া উচিত। অর্থাৎ, যদি কোনো নথি বৈধতার বিচারে উত্তীর্ণ হয়, তবে তাকে প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। এই প্রসঙ্গে আদালত বিশেষভাবে আধার এবং EPIC-এর উল্লেখ করেছে এবং এই নথিগুলিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

কোন আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে

এই মামলাটি নির্বাচন কমিশনের ২৪ জুন ২০২৪ তারিখের সেই নির্দেশের সাথে জড়িত, যেখানে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকা বিশেষ সংশোধনের কাজ শুরু করার কথা বলা হয়েছিল। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে একাধিক পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। আবেদনকারীরা এই নির্দেশকে সংবিধানের ১৪ অনুচ্ছেদ (সাম্যের অধিকার), ১৯ (বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা), ২১ (জীবনধারণের অধিকার), ৩২৫ এবং ৩২৬ (ভোটাধিকার)-এর লঙ্ঘন হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এছাড়াও, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫০ এবং ভোটার নিবন্ধন বিধি ১৯৬০-এর অধীনে নির্ধারিত প্রক্রিয়া থেকে বিচ্যুতির অভিযোগ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের আত্মপক্ষ সমর্থন

ECI এই অভিযোগগুলি অস্বীকার করে বলেছে যে সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ১৯৫০-এর ২১(৩) ধারার অধীনে ভোটার তালিকা সংশোধনের সম্পূর্ণ অধিকার তার আছে। কমিশন স্পষ্ট করেছে যে এই প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং এতে কোনো ধরনের বৈষম্য করা হয়নি।

Leave a comment