মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার শিক্ষক নিয়োগে ডোমিসাইল নিয়ম লাগু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই নিয়ম TRE-4 থেকে লাগু হবে। এর ফলে বিহারের যুবকরা সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার পাবে। শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Bihar: বিহার সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্যের যুবকদের সরকারি শিক্ষকের চাকরিতে বড় স্বস্তি দেবে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার TRE-4 থেকেই শিক্ষক নিয়োগে ডোমিসাইল নীতি লাগু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর অধীনে এখন বিহারের স্থায়ী বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আসুন বিস্তারিতভাবে জানা যাক এই সিদ্ধান্তের প্রভাব, প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক পটভূমি।
নির্বাচনী বছরে নীতীশ কুমারের বড় পদক্ষেপ
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সোমবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ এই ঘোষণা করে লিখেছেন যে তাঁর সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় এখন শিক্ষক নিয়োগে স্থানীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি লিখেছেন- “নভেম্বর ২০০৫-এ সরকার গঠনের পর থেকে আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ক্রমাগত কাজ করে চলেছি। শিক্ষকদের নিয়োগে বিহারের বাসিন্দাদের (ডোমিসাইল) অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য শিক্ষা দফতরকে সংশ্লিষ্ট বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটি TRE-4 থেকেই লাগু করা হবে।”
TRE-4 থেকে নতুন নিয়ম লাগু হবে
TRE অর্থাৎ Teacher Recruitment Exam-এর চতুর্থ পর্যায় অর্থাৎ TRE-4 ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করেছেন যে TRE-5 ২০২৬ সালে হবে এবং তার আগে STET (Secondary Teacher Eligibility Test)-এর আয়োজন করা হবে।
TRE-4 থেকে ডোমিসাইল নীতি লাগু হওয়ার মানে হল বিহারের শিক্ষক পদের জন্য এখন রাজ্যের প্রার্থীদের স্পষ্ট অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
শিক্ষা দফতরকে দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট নির্দেশ
নীতীশ কুমার শিক্ষা দফতরকে আদেশ দিয়েছেন যে তারা যেন বর্তমান নিয়োগ বিধিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে যাতে এই ডোমিসাইল নীতি লাগু করা যায়। এর সরাসরি সুবিধা সেই যুবকরা পাবে যারা বিহারের স্থায়ী বাসিন্দা এবং বহু বছর ধরে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মহিলাদের জন্য আগেই লাগু হয়েছে ডোমিসাইল নীতি
উল্লেখযোগ্য যে বিহার সরকার কিছু দিন আগেই মহিলাদের জন্য ডোমিসাইল নীতি লাগু করেছে। এর অধীনে এখন শুধু বিহারের মহিলারাই সরকারি চাকরিতে ৩৫ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাবে।
আগে পর্যন্ত এই সুবিধা অন্যান্য রাজ্যের মহিলারাও পেত, কিন্তু নতুন নিয়মের পর কেবল বিহারের বাসিন্দা মহিলারাই এই সংরক্ষণের যোগ্য হবে। অন্য রাজ্যের মহিলারা জেনারেল ক্যাটাগরিতে বিবেচিত হবে।
বিহারের যুবকরা রোজগারে সুবিধা পাবে
এই নতুন নীতি লাগু হওয়ার ফলে বিহারের যুবকরা শিক্ষক পদে নিয়োগে বেশি সুযোগ পাবে। এতদিন বাইরের রাজ্যের প্রার্থীরাও बड़ी সংখ্যায় এই নিয়োগগুলিতে অংশ নিত, যে কারণে প্রতিযোগিতা বেশ কঠিন হয়ে যেত।
TRE-4 এবং TRE-5-এর প্রস্তুতির সময়
সরকার TRE-4-এর সম্ভাব্য তারিখ ২০২৫ সাল এবং TRE-5-এর সম্ভাব্য তারিখ ২০২৬ সাল স্থির করেছে। অর্থাৎ প্রার্থীদের কাছে প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় থাকবে। এর আগে STET-এর আয়োজন করা হবে যা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।