বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন অভিযান ১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে নাগরিকরা তালিকায় নিজেদের নাম যোগ করতে, ভুল সংশোধন করতে বা অযোগ্য নাম বাদ দিতে পারবেন।
Bihar Voter List: বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে নির্বাচন কমিশন একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। কমিশন ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (Special Intensive Revision - SIR) প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যার অধীনে নাগরিকরা ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম যোগ করা, বাদ দেওয়া বা সংশোধন করার সুযোগ পাবেন। এই প্রক্রিয়া গণতন্ত্রকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ ১ অগাস্ট
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Chief Electoral Officer - CEO) জানিয়েছেন যে ২০২৫ সালের ১ অগাস্ট ভোটার তালিকার সংশোধিত খসড়া (Draft List) প্রকাশিত হবে। এর পরে এক মাসের মধ্যে যেকোনো যোগ্য নাগরিক দাবি করতে পারবেন যে কেন তার নাম তালিকায় নেই, বা অন্য কারো নাম ভুলভাবে যুক্ত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আপত্তিও জানানো যাবে।
ভোটাররা কী করতে পারেন?
এই বিশেষ সংশোধন অভিযানের অধীনে নিম্নলিখিত কাজগুলো করা যেতে পারে:
- যদি আপনার নাম ভোটার তালিকায় না থাকে, তাহলে আপনি এটি যুক্ত করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
- যদি তালিকায় আপনার নাম ভুলভাবে লেখা হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সেটি সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে পারেন।
- যদি কোনো অযোগ্য ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে আপনি তার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারেন।
বিএলও এবং বিএলএ-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
এই প্রক্রিয়ায় বুথ লেভেল অফিসার (BLOs) এবং বুথ লেভেল এজেন্ট (BLAs)-দের ভূমিকাও খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। ১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএলও/বিএলএ সেই নাগরিকদের ফর্ম গ্রহণ করবেন যাদের নাম বাদ পড়েছে বা ভুলভাবে তালিকায় যুক্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকেও এই প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে কমিশন ১২টি প্রধান রাজনৈতিক দলের জেলা সভাপতিদের দ্বারা মনোনীত ১.৫ লক্ষ বিএলএ-র সাথে প্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করেছে।
অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমই উপলব্ধ
যে ভোটাররা এই মুহূর্তে বিহারের বাইরে আছেন, কিন্তু তাদের ভোটার রেজিস্ট্রেশন বিহারে আছে, তারাও এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। এর জন্য:
- https://voters.eci.gov.in অথবা ECINet অ্যাপ-এ গিয়ে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করতে পারেন।
- ফর্মটি প্রিন্ট করে BLO-র কাছে পাঠাতে পারেন।
- ফর্মটি WhatsApp-এর মাধ্যমেও পাঠানো যেতে পারে।
এই উদ্যোগ শুধু প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তোলে তাই নয়, এটি নিশ্চিত করে যে প্রতিটি যোগ্য নাগরিক ভোটাধিকার পান।
১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাবি ও আপত্তি গ্রহণ
খসড়া তালিকা প্রকাশের পর ১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যেকোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের অধিকার থাকবে যে তারা সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) বা সহকারী নির্বাচন রেজিস্ট্রেশন অফিসার (AERO)-এর কাছে তাদের দাবি বা আপত্তি জানাতে পারেন। কমিশনের উদ্দেশ্য হল কোনো যোগ্য ভোটার যেন তালিকা থেকে বাদ না যান।
এই প্রক্রিয়া শুধুমাত্র নির্বাচনের আগের আনুষ্ঠানিকতা নয়। এই অভিযান নিশ্চিত করে যে ভোটার তালিকা সঠিক আছে এবং কোনো নাগরিক যেন ভোট দেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। এছাড়াও এটিও নিশ্চিত করা হয় যে জাল নাম বা অযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা থেকে সরানো যায়।