সংসদে অচলাবস্থা নিরসন: ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বিশেষ আলোচনায় সরকার ও বিরোধী দল

সংসদে অচলাবস্থা নিরসন: ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বিশেষ আলোচনায় সরকার ও বিরোধী দল

সংসদে চলমান অচলাবস্থা নিরসনের আশা করা যাচ্ছে। সরকার বিরোধীদের দাবি মেনে নিয়ে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বিশেষ আলোচনার জন্য রাজি হয়েছে। সোমবার থেকে আলোচনা শুরু হতে পারে।

Deadlock in Parliamen: সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চলমান টানাপোড়েন এখন শেষ হওয়ার পথে। সংসদে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আলোচনার জন্য উভয় পক্ষ রাজি হয়েছে। এই আলোচনা সোমবার থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্মের পথ খুলে দিতে পারে।

লোকসভা স্পিকারের বৈঠক ফলপ্রসূ

শুক্রবার লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লা কর্তৃক আহূত সর্বদলীয় বৈঠকে এই সম্মতি আসে। এই বৈঠকে সংসদীয় কার্য মন্ত্রী কিরেন রিজিজু, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী সহ অন্যান্য দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল সংসদে সৃষ্ট অচলাবস্থা দূর করে স্বাভাবিক কাজকর্ম পুনরুদ্ধার করা।

বিরোধীরা বিশেষ আলোচনা চেয়েছিল, নিয়ম ১৯৩ এর অধীনে নয়

বিরোধীদের প্রধান দাবি ছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে আলোচনা একটি বিশেষ ফরম্যাটে হোক, নিয়ম ১৯৩ এর অধীনে নয়। নিয়ম ১৯৩ এর অধীনে আলোচনার কাঠামো এমন হয় যেখানে সরকারের উদ্যোগ এবং কৃতিত্বের উপর জোর দেওয়া হয়। বিরোধীরা এই অপারেশনে শুধুমাত্র সরকারের প্রশংসা পর্যন্ত আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে চায়নি, বরং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনার দাবি জানিয়েছিল।

'অপারেশন সিন্দুর'-এর বিষয়বস্তু

‘অপারেশন সিন্দুর’ ছিল ভারত সরকার কর্তৃক বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার একটি বিশেষ অভিযান। সরকার এটিকে একটি বড় সাফল্য হিসেবে তুলে ধরেছে। বিরোধীরা এই বিষয়ে আলোচনা করে এর রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিকগুলি তুলে ধরতে চায়।

বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনও আলোচনায়

বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে- বিহারে চলমান ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী অভিযান। বিরোধীরা অভিযোগ করেছে যে এই প্রক্রিয়া নির্বাচনী দৃষ্টিকোণ থেকে পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে। রাহুল গান্ধী বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন যে বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের মতো গুরুতর বিষয় নিয়ে সংসদে কবে আলোচনা হবে।

সর্বদলীয় বৈঠকের সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং তার সম্ভাব্য অভিশংসন নিয়েও আলোচনা হয়। বিরোধীরা এই বিষয়ে সংসদের অভ্যন্তরে বিস্তারিত আলোচনার দাবি জানিয়েছে।

সংসদের বাইরেও দেখা গেল বিরোধীদের ক্ষোভ

সংসদের ভেতরেই নয়, বাইরেও বিরোধীদের বিক্ষোভ लगातार जारी রয়েছে। শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ইন্ডিয়া ব্লকের সাংসদদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে যোগ দেন। এই বিক্ষোভ সংসদের মকর দ্বারে लगातार পঞ্চমবারের মতো आयोजित করা হয়েছে।

গান্ধী মূর্তি থেকে পদযাত্রা

বিক্ষোভের সময় সাংসদরা সংসদ চত্বরে অবস্থিত মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। এই বিক্ষোভে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ অনেক সিনিয়র নেতা অংশ নেন। সবার হাতে পোস্টার ও ব্যানার ছিল, যাতে লেখা ছিল- "মাননীয়, গণতন্ত্রের উপর আক্রমণ।" এই স্লোগানের মাধ্যমে বিরোধীরা সরকারের উপর গণতন্ত্রকে দুর্বল করার অভিযোগ তোলেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার বিহারে ভোটার তালিকায় কারচুপি করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। তাদের বক্তব্য, এটি ভোটার অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন এবং এর সংসদে বিস্তারিত বিশ্লেষণ হওয়া উচিত।

Leave a comment