বীরভূমে সমবায় নির্বাচনে বিজেপির জয়, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে বড় ধাক্কা

বীরভূমে সমবায় নির্বাচনে বিজেপির জয়, তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে বড় ধাক্কা

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে। ইটাহাট সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিজেপি সবকটি ন'টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেসকে زর্দার मात দিয়েছে। এই এলাকাটি টিএমসির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল, তবে এই নির্বাচনে বিজেপি তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে পুরো অঞ্চলে জয়লাভ করেছে। অন্যদিকে, বাম দলগুলির পারফর্ম্যান্সও এই নির্বাচনে খুবই দুর্বল ছিল এবং তারা একটিও আসন পায়নি। বিজেপি এটিকে আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একটি বড় জয়ের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে।

নির্বাচন ফলে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ

সাঁইথিয়ার ইটাহাট অঞ্চলে ৯২৮ জন ভোটারের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির সাফল্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যেখানে টিএমসি এবং বাম দলগুলির প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়ে। এই জয় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা বাড়িয়ে দিয়েছে এবং দলটি এটিকে বিধানসভা নির্বাচনে তাদের অগ্রগতির বড় প্রমাণ হিসেবে দেখছে। স্থানীয় বিজেপি নেতারাও এই পারফর্ম্যান্সকে এলাকায় দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির প্রমাণ হিসেবে দেখছেন।

টিএমসির বড় পরাজয়

বিজেপি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বীরভূমে রাজনৈতিক জাগরণ হয়েছে দাবি করে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গঠনের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। ময়ূরেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের ইটাহাট সমবায় সমিতি নির্বাচনে বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা সবকটি ন'টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেছেন যে, তৃণমূলের এই ঘাঁটি ইতিমধ্যেই ভেঙে গেছে এবং এখন এখানে তাদের প্রভাব প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, তৃণমূল অনেক জায়গায় পুলিশের অপব্যবহার করে ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছে, তবে যেখানে ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছেন, সেখানে দলটিকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।

গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বীরভূমের দুটি আসনেই জয়লাভ করেছিল এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ১১টির মধ্যে ১০টি আসনে জিতেছিল। যদিও, এই নতুন নির্বাচনের ফল বিজেপির জন্য বড় জয় হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে, যা দলের জন্য ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে শক্তি জুগিয়েছে। বিজেপির ধারণা, ময়ূরেশ্বর অঞ্চলে দলের প্রভাব আরও বাড়বে এবং তারা ২০২৬ সালে বাংলায় ক্ষমতায় ফিরবে।

Leave a comment