উত্তর প্রদেশের মুজাফ্ফরনগর জেলায় সোমবার সকালে ইউপি এসটিএফ-এর (UP STF) বড় সাফল্য মিলেছে। মেরঠ এসটিএফ-এর (Meerut STF) দল একটি এনকাউন্টারে কুখ্যাত অপরাধী এবং সঞ্জীব জীবা গ্যাংয়ের শার্প শুটার শাহরুখ পাঠানকে খতম করেছে। এই এনকাউন্টার মুজাফ্ফরনগরের ছাপার থানা এলাকায় সংঘটিত হয়েছে। শাহরুখ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল এবং তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, লুট-এর মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগে এক ডজনেরও বেশি মামলা রুজু ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই অভিযান
পুলিশ সূত্রে খবর, মেরঠ এসটিএফ-কে (Meerut STF) খবর পাওয়া গিয়েছিল যে শাহরুখ পাঠান ছাপার অঞ্চলে লুকিয়ে আছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে, সোমবার সকালে এসটিএফ দল এলাকাটি ঘিরে ফেলে। তখনই শাহরুখ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করে, যার জবাবে এসটিএফ-এর তরফ থেকেও গুলি চালানো হয়। এনকাউন্টারের সময় শাহরুখ গুলিবিদ্ধ হয় এবং গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এনকাউন্টারের সময় শাহরুখের সাথে থাকা আরও কয়েকজন দুষ্কৃতী রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বর্তমানে পুলিশ এলাকাটিতে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে এবং পলাতক অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।
কে ছিল শাহরুখ পাঠান?
শাহরুখ পাঠান মুজাফ্ফরনগরের খালাপাড় এলাকার বাসিন্দা ছিল এবং ২০১৫ সালে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। ২০১৬ সালে সে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যায় এবং তারপর থেকেই সে ক্রমাগত অপরাধমূলক কাজে জড়িত ছিল। তার বিরুদ্ধে মুজাফ্ফরনগর, সম্ভল এবং হরিদ্বারে হত্যা, লুট, অস্ত্র আইন এবং চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অপরাধের মামলা ছিল। সে কুখ্যাত গ্যাংস্টার সঞ্জীব জীবা-র (Sanjeev Jeeva) গ্যাং-এর সক্রিয় সদস্য ছিল। সঞ্জীব জীবাকেও দু বছর আগে লখনউ কোর্টে হাজিরা দেওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।
প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার
এনকাউন্টারের পর ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের মতে, শাহরুখের কাছ থেকে একটি ৩০ এমএম বেরেটা পিস্তল, ৩২ এমএম অর্ডিন্যান্স রিভলভার, একটি দেশি ৯ এমএম পিস্তল, নম্বর প্লেটবিহীন একটি সাদা ব্রেজা গাড়ি, ৭টি তাজা কার্তুজ (৯ এমএম), ১০টি তাজা কার্তুজ (৩২ এমএম), ৪৬টি তাজা কার্তুজ (৩০ এমএম) এবং ৬টি কার্তুজের খোল উদ্ধার করা হয়েছে।
এসটিএফ-এর এই অভিযানকে পশ্চিম উত্তর প্রদেশে সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে একটি বড় সাফল্য হিসেবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ এখন শাহরুখের নেটওয়ার্ক এবং গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।