ছত্তীসগঢ়ে জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধিতে মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠক

ছত্তীসগঢ়ে জিএসটি সংগ্রহ বৃদ্ধিতে মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠক

ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাই বৃহস্পতিবার মন্ত্রালয়ের মহানদী ভবনে বাণিজ্যিক কর (জিএসটি) বিভাগের একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি কর সংগ্রহের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হন এবং কর্মকর্তাদের জিএসটি রাজস্ব বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, কর থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব রাজ্য এবং দেশের উন্নয়নমূলক কাজের মেরুদণ্ড, তাই করদাতাদের সময়মতো এবং সততার সঙ্গে কর পরিশোধ করা উচিত।

মুখ্যমন্ত্রী সাই কর ফাঁকি নিয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে বিভাগকে নির্দেশ দেন, যারা জিএসটি ফাঁকির সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তিনি বলেন, এমন ক্ষেত্রে কঠোরভাবে আদায় করতে হবে এবং কর ফাঁকি বন্ধ করতে বিভাগকে তাদের নজরদারি ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে। বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, ছত্তীসগঢ় ১৮% বৃদ্ধির হার সহ, জিএসটি সংগ্রহে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য বিভাগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো পারফর্ম করার জন্য উৎসাহিত করেন।

২০২৪-২৫ সালে ২৩,৪৪৮ কোটি টাকার কর রাজস্ব

পর্যালোচনা বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, আর্থিক বছর ২০২৪-২৫ এ রাজ্য জিএসটি এবং ভ্যাট থেকে মোট ২৩,৪৪৮ কোটি টাকার কর রাজস্ব পেয়েছে, যা ছত্তীসগঢ়ের মোট কর রাজস্বের ৩৮ শতাংশ। এই পারফরম্যান্স রাজ্যের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ও.পি. চৌধুরী বিভাগীয় কার্যক্রম এবং নীতিগত বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেন।

মুখ্যমন্ত্রী বিভাগের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন, তারা যেন নিয়মের অধীনে থেকে কর সংগ্রহ আরও সুদৃঢ় করেন। একইসঙ্গে, কর ফাঁকির মামলাগুলোতে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন এবং এমন মামলাগুলো মোকাবেলার জন্য কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন।

জাল বিলিং এবং করের গোলযোগের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জাল বিল, দ্বৈত হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থা এবং ভুল ট্যাক্স হার ব্যবহার করে অন্যায় সুবিধা গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বিভাগের উদ্ভাবনী উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। তিনি জানান, জিএসটি নিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজ করে এর গড় সময়সীমা ১৩ দিন থেকে কমিয়ে ২ দিন করা হয়েছে, যা রাজস্ব ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।

বিভাগীয় কর্মকর্তারা সম্প্রতি গৃহীত প্রধান কার্যক্রম এবং কর ফাঁকির সঙ্গে জড়িত অর্থ আদায়ের বিবরণও বৈঠকে পেশ করেন। তারা জানান, এই কার্যক্রমের কারণে রাজ্যের কর রাজস্বে ক্রমাগত ইতিবাচক বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

৩৩টি জেলায় জিএসটি অফিস স্থাপন

রাজ্যে জিএসটি পরিষেবাগুলি শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে ছত্তীসগঢ় সরকার সমস্ত ৩৩টি জেলায় জিএসটি অফিস স্থাপন করেছে। এর ফলে করদাতারা সময় মতো পরিষেবা পাচ্ছেন এবং কর ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ হয়ে উঠেছে।

মুখ্যমন্ত্রী সাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্য সচিব অমিতাভ জৈন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব সুবোধ কুমার সিং, সচিব মুকেশ কুমার বনসল, সচিব রাহুল ভগত এবং বাণিজ্যিক কর কমিশনার পুষ্পেন্দ্র মীনা সহ বিভাগের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment