মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেরাদুনে 'স্বদেশী আপনানো' অভিযান: স্থানীয় পণ্য ব্যবহারে জোর

মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেরাদুনে 'স্বদেশী আপনানো' অভিযান: স্থানীয় পণ্য ব্যবহারে জোর

দেরাদুনের পল্টন বাজারে মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী 'স্বদেশী আপনানো' অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তিনি নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের স্থানীয় পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে, আত্মনির্ভর ভারত গড়তে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করার বার্তা দেন।

Uttrakhand: দেরাদুনের পল্টন বাজারে বুধবার স্বদেশী আপনানো অভিযানের জোরালো সূচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী এই জনসচেতনতা অভিযানের নেতৃত্ব দেন এবং নাগরিক, ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে স্বদেশী পণ্য বেশি করে ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বদেশী আপনানো কেবল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং প্রত্যেক নাগরিকের জাতীয় কর্তব্য।

অভিযানের উদ্দেশ্য

মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী জানান, এই অভিযান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'আত্মনির্ভর ভারত' ও 'ভোकल ফর লোকাল'-এর বার্তা জনগণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার একটি শক্তিশালী প্রয়াস। তিনি বলেন, যদি আমরা আমাদের দেশে তৈরি জিনিসকে অগ্রাধিকার দিই, তাহলে এর থেকে কেবল দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মজবুত হবে তাই নয়, স্থানীয় রোজগারের সুযোগও বাড়বে।

ধামী জনগণের কাছে আবেদন করেন যে তাঁরা যেন উৎসব, উপহার ও দৈনন্দিন জীবনে স্বদেশী পণ্যকে অগ্রাধিকার দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল যে এর মাধ্যমে ভারতের অর্থনীতি ও স্থানীয় শিল্প উভয়ই শক্তিশালী হবে।

"স্বদেশী আপনানো জাতীয় কর্তব্য"

অনুষ্ঠানের সময় মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে স্বদেশী আপনানো কেবল অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। এটি দেশভক্তি ও জাতীয় দায়িত্বও। তিনি বলেন, “স্বদেশী আপনানো, দেশকে মজবুত করো” কেবল একটি স্লোগান নয়, বরং আমাদের দেশকে আত্মনির্ভর বানানোর দিশা।

তিনি ব্যবসায়ীদের কাছেও আর্জি জানান যে তাঁরা যেন তাঁদের দোকানে স্বদেশী নামের বোর্ড লাগান, যাতে গ্রাহকদের মধ্যে স্বদেশী পণ্যের প্রতি বিশ্বাস ও গর্বের অনুভূতি জন্মায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে স্বদেশী পণ্যের ব্যবহারে ভারতের টাকা দেশেই থাকবে এবং আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের সহযোগিতা

পল্টন বাজারের দোকানগুলোতে ঘোরার সময় মুখ্যমন্ত্রী সেখানে "স্বদেশী আপনান-রাষ্ট্রকে মজবুত বানান" স্টিকার লাগান। তিনি ব্যবসায়ীদের অনুপ্রাণিত করেন যাতে তাঁরা তাঁদের পণ্যে স্বদেশী বিকল্পকে প্রাধান্য দেন। এই উপলক্ষে স্থানীয় যুবক, ব্যবসায়ী সমিতি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও অভিযানে সক্রিয়ভাবে শামিল হন।

জনসমষ্টি "স্বদেশী আপনানো-দেশ বাঁচাও" স্লোগান দিয়ে অভিযানের সমর্থন করেন। অনুষ্ঠানে রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি মহেন্দ্র ভাট্ট সহ অনেক জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের অবদান

মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে স্বদেশী আপনানো কেবল বাজারের প্রয়োজন নয়, বরং এটি আমাদের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্পকেও মজবুত করে। তিনি সকল নাগরিকের কাছে আর্জি জানান যে তাঁরা যেন উৎসব ও বিশেষ অনুষ্ঠানে স্বদেশী পণ্যকেই অগ্রাধিকার দেন।

ধামী এটাও জানান যে স্থানীয় কারিগর ও ছোট শিল্পকে সমর্থন দেওয়া হলে তাঁদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মজবুত হবে এবং যুবকেরা রোজগারের নতুন সুযোগ পাবে। তিনি বলেন যে যদি আমরা সবাই মিলে স্বদেশী আপনান, তাহলে ভারত বিশ্বস্তরে আরও শক্তিশালী হবে।

সংগঠনগুলোর ভূমিকা

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ধামীকে তাঁদের সমর্থন দেন এবং সুনিশ্চিত করেন যে স্বদেশী পণ্য বাজারে আরও বেশি করে প্রচার পাবে। ব্যবসায়ীরাও এই প্রতিশ্রুতি দেন যে তাঁরা দোকানে স্বদেশী নাম ও প্রচার সামগ্রী লাগিয়ে গ্রাহকদের সচেতন করবেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো অভিযানের প্রচার-প্রসারে অংশ নেয় এবং স্থানীয় নাগরিকদের স্বদেশী পণ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে জানায়।

অধিবেশনের সময় নাগরিকেরাও স্বদেশী আপনানোর জন্য নিজেদের দায়বদ্ধতা জানায়। লোকেরা বলেন যে তাঁরা এখন থেকে তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে স্থানীয় পণ্যের সর্বাধিক ব্যবহার করবেন। যুব সম্প্রদায় অভিযানকে উৎসাহের সঙ্গে আপন করে নেয় এবং তাদের পরিবারকেও স্বদেশী পণ্য ব্যবহার করার জন্য উৎসাহিত করে।

Leave a comment