ইরানের দক্ষিণ-পূর্বে নিরাপত্তা বাহিনী জইশ-আল-আদলের ১৩ জন সন্ত্রাসবাদীকে হত্যা করেছে। এই সন্ত্রাসবাদীরা ৫ জন পুলিশকর্মীর হত্যায় জড়িত ছিল। রেভোলিউশনারি গার্ডস এবং পুলিশ অভিযানে আরও অনেক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
Iran: ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে তিনটি পৃথক অভিযানে ১৩ জন ইসলামিক চরমপন্থীকে হত্যা করেছে। এই অভিযানটি জইশ-আল-আদল নামক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে। সরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহত সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে আটজন গত শুক্রবার টহলরত পাঁচজন পুলিশকর্মীকে হত্যা করেছিল।
জইশ-আল-আদল: ইরানে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন
জইশ-আল-আদল সংগঠনটি বালোচ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নামে ইরানে সক্রিয়। এই সংগঠনটি कथितভাবে আরও বেশি অধিকারের দাবি করে। যদিও ইরান সরকার এটিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংগঠনটি সীমান্ত পেরিয়ে সমর্থন পেয়ে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। ইরান সরকার এই সন্ত্রাসবাদীদের গ্রেপ্তার করতে এবং তাদের শেষ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
অভিযানের বিবরণ
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিযানের কার্যক্রম সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের তিনটি ভিন্ন শহরে হয়েছে। এই সংঘর্ষে অনেক সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীকে আটক করা হয়েছে, যদিও তাদের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। অভিযানে ইরানের আধা-সামরিক বাহিনী ‘রেভোলিউশনারি গার্ডস’ পুলিশের সঙ্গে মিলিতভাবে অংশ নেয়। রেভোলিউশনারি গার্ডস ইরান-এর সবচেয়ে শক্তিশালী নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বাহিনী অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা থেকে শুরু করে বাহ্যিক বিপদ পর্যন্ত মোকাবিলা করার জন্য মোতায়েন থাকে।
সিস্তান-বালুচিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি
সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এই এলাকাটি দীর্ঘকাল ধরে অস্থিরতা ও হিংসার কেন্দ্র হয়ে রয়েছে। এখানে জাতিগত ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পাশাপাশি সশস্ত্র মাদক দ্রব্য চোরাকারবারী, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসবাদীদের কার্যকলাপ সাধারণ ঘটনা। নিরাপত্তা বাহিনী ও উগ্রবাদী গোষ্ঠীর মধ্যে সময়ে সময়ে সংঘর্ষ হয়ে থাকে।
চরমপন্থার হুমকি
সিস্তান-বালুচিস্তান ইরান-এর সবচেয়ে কম উন্নত প্রদেশ। এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং बुनियादी ढांचे-র भारी অভাব রয়েছে। এই সামাজিক ও অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতার সুযোগ নিয়ে অনেক চরমপন্থী সংগঠন এই অঞ্চলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে সফল হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, যতক্ষণ না আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত চরমপন্থার সমস্যা সম্পূর্ণরূপে শেষ করা সম্ভব নয়।
ইরানি সরকারের অভিযান
ইরান সরকার लगातार এই অঞ্চলে নিরাপত্তা অভিযান চালাচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হল সীমান্ত এলাকায় চরমপন্থা এবং तस्करी নিয়ন্ত্রণ করা। বুধবারের এই পদক্ষেপকে সরকার “বড় সাফল্য” হিসেবে উল্লেখ করেছে। একই সাথে, নিরাপত্তা বাহিনী ভবিষ্যতে আরও এই ধরনের অভিযান চালানোর ঘোষণা করেছে।