মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দীপাবলি নির্দেশিকা: আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও স্বদেশী উৎসবে জোর

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দীপাবলি নির্দেশিকা: আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও স্বদেশী উৎসবে জোর

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দীপাবলি এবং আসন্ন উৎসবগুলিকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আধিকারিকদের গোয়েন্দা ব্যবস্থা সক্রিয় রাখতে, স্বদেশী পণ্যকে উৎসাহিত করতে এবং আইন-শৃঙ্খলার ওপর কঠোর নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

গোরক্ষপুর: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আসন্ন দীপাবলি এবং অন্যান্য উৎসব উপলক্ষে রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা এবং উৎসব-পার্বণের প্রস্তুতির ব্যাপক পর্যালোচনা করেছেন। তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে গোয়েন্দা ব্যবস্থা এবং পুলিশ বাহিনী প্রতিটি স্তরে সতর্ক অবস্থায় থাকবে এবং যেকোনো ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ রুখতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী উৎসবগুলি স্বদেশী পণ্যের মাধ্যমে পালন করতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন।

দীপ উৎসবে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা অগ্রাধিকার

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে অযোধ্যার দীপ উৎসব এবং কাশী'র দেব দীপাবলি শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, বরং গোটা দেশের পরিচয় হয়ে উঠেছে। এমন বড় আয়োজনে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও পর্যটক অংশগ্রহণ করেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে পুলিশ এবং গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখতে হবে এবং অরাজকতার সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

একই সাথে, যান চলাচল, নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ব্যবস্থার নজরদারিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে দীপ উৎসব চলাকালীন যেকোনো ধরনের ব্যাঘাত অগ্রহণযোগ্য এবং সমস্ত আধিকারিকদের মাঠে নেমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

দীপাবলির জন্য পরিবেশ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশ জারি

মুখ্যমন্ত্রী "স্বদেশী হোক দীপাবলি" এই বার্তাটিকে জোরালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ১০ অক্টোবর থেকে সমগ্র রাজ্যে স্বদেশী মেলার আয়োজন করা হবে, যাতে প্রতিটি শ্রেণীর পরিবার স্বদেশী পণ্য কেনে এবং স্থানীয় ব্যবসা উৎসাহিত হয়।

একই সাথে, লক্ষ্মী প্রতিমা বিসর্জন নদীতে না করে পুকুরে করার, জনবসতি থেকে দূরে আতশবাজি বিক্রি করার এবং ক্ষতিকর আতশবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফায়ার টেন্ডার এবং লাইসেন্সের ব্যবস্থা সময়মতো নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

খাদ্য ও সোশ্যাল মিডিয়া নিরাপত্তায় প্রশাসন সতর্ক

মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য সুরক্ষার দায়িত্ব এফএসডিএ এবং জেলা প্রশাসনকে দিয়েছেন। দুধ, খোয়া, পনির এবং মিষ্টির মতো সামগ্রীতে যেন ভেজাল না থাকে, তার জন্য কঠোর পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যবসায়ীকে যেন হয়রানি না করা হয়, কিন্তু দোষী প্রমাণিত হলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় জাতিগত অনুভূতি উসকে দেওয়া উপাদানগুলির ওপরও কঠোর নজরদারি রাখতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ড্রোন গুজব এবং জুমার নামাজের পর নিরাপত্তার বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আলো এবং যান চলাচল ব্যবস্থায় সতর্কতা 

মুখ্যমন্ত্রী নগর সংস্থাগুলি এবং জেলা প্রশাসনকে উৎসবের আগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাস্তাঘাট এবং গলিগুলিকে পরিষ্কার ও আলোকিত রাখা হবে, জল জমে থাকা এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।

শহর ও ছোট শহরগুলিতে সর্পিল আলো এবং বিশেষ যান চলাচল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রধান ধর্মীয় স্থান এবং পূজা স্থানগুলিতে পুলিশ এবং ট্র্যাফিক বিভাগের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা বাধ্যতামূলক হবে।

Leave a comment