মধ্য প্রদেশের গোয়ালিয়র গ্রামীণ আসন থেকে কংগ্রেস বিধায়ক সাহেব সিং गुर्जर আবারও বিতর্কে জড়িয়েছেন। অশোকনগরে মঙ্গলবার আয়োজিত কংগ্রেসের 'ন্যায় সত্যাগ্রহ' কর্মসূচিতে তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-কে নিয়ে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "যারা পুরুষ ছিল তারা যুদ্ধে গেল, আর যারা হিজড়ে ছিল তারা সংঘে গেল।" তার এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে, যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি।
কর্মসূচিটি কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারীর সমর্থনে আয়োজন করা হয়েছিল। পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে এক যুবককে মিথ্যা দাবি করতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে এবং এই কারণে তার বিরুদ্ধে অশোকনগরের মুঙ্গাওয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কংগ্রেস এই এফআইআর-কে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছে এবং বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিশোধের রাজনীতি করার অভিযোগ করেছে।
বিজেপির কটাক্ষ
সাহেব সিং গুরজরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা এটিকে শুধু 'তৃতীয় লিঙ্গ' সম্প্রদায়ের নয়, বরং মহিলাদেরও অপমান হিসেবে উল্লেখ করেছে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রী বিশ্বাস সারং বলেছেন, অশোকনগরে কংগ্রেসের এই বিক্ষোভ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং এটি কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আরও একটি উদাহরণ হয়ে রইল।
সারং আরও প্রশ্ন তোলেন যে গুরজরের এই মন্তব্যটি কি কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতা কমলনাথ এবং অরুণ যাদবের জন্য ছিল, যারা 'ন্যায় সত্যাগ্রহ' কর্মসূচিতে অংশ নেননি। তিনি বলেন, কংগ্রেস এখন জনস্বার্থের বিষয় থেকে সরে এসে কেবল বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে রাজনীতি উজ্জ্বল করতে চাইছে।
নির্বাচনের মরসুমে বাণীবর্ষণ
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে প্রদেশের রাজনীতিতে বাণীবর্ষণ বাড়ছে। সাহেব সিং গুরজরের মন্তব্যকে বিজেপি একদিকে জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির অপমান হিসেবে দেখছে, অন্যদিকে কংগ্রেসের মধ্যেও এই মন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিজেপি স্পষ্টভাবে বলেছে যে তারা এ ধরনের অশ্লীল ভাষা এবং মানসিকতা সহ্য করবে না এবং তা জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
বিতর্কিত মন্তব্যের সাথে আবারও প্রশ্ন উঠেছে যে, নির্বাচনের উত্তাপে নেতাদের মুখে লাগাম পরানো কি এখন অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে?