পাটনায় শেষ হল কংগ্রেসের ভোটার অধিকার যাত্রা, গণতন্ত্র রক্ষার বার্তা

পাটনায় শেষ হল কংগ্রেসের ভোটার অধিকার যাত্রা, গণতন্ত্র রক্ষার বার্তা

কংগ্রেসের ১৪ দিনের ভোটার অধিকার যাত্রার সমাপ্তি হবে পাটনায়। রাহুল গান্ধী সহ বিরোধী নেতারা গান্ধী ময়দান থেকে আম্বেদকর মূর্তি পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন এবং জনসভা সম্বোধন করবেন। এই যাত্রার উদ্দেশ্য হল গণতন্ত্র রক্ষা এবং ভোটার অধিকারকে শক্তিশালী করা।

বিহার: কংগ্রেসের ১৪ দিন ব্যাপী 'ভোটার অধিকার যাত্রা' সোমবার বিহারের রাজধানী পাটনায় শেষ হবে। এই যাত্রা ১,৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে কংগ্রেস এবং 'ইন্ডিয়া' জোটের বহু শীর্ষ নেতা উপস্থিত থাকবেন।

রাহুল গান্ধী ও বিরোধী নেতাদের উপস্থিতি

লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর সাথে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' (Indian National Developmental Inclusive Alliance)-এর অনেক বিশিষ্ট নেতা এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদক ডি. রাজা, সিপিআই (এম)-এর সাধারণ সম্পাদক এম. এ. বেবি, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) শিবিরের সঞ্জয় রাউত, এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী)-এর কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ইউসুফ পাঠান ও ললিতেশ ত্রিপাঠি।

গান্ধী থেকে আম্বেদকর পর্যন্ত পদযাত্রা

বিহার কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের প্রধান রাজেশ রাঠোর জানিয়েছেন যে 'গান্ধী থেকে আম্বেদকর' পদযাত্রা সোমবার সকাল ১১:১৫ মিনিটে পাটনার ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দান থেকে শুরু হবে। প্রথমে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।

এরপর মিছিলটি এস. পি. বর্মা রোড, ডাক বাংলো মোড়, कोतवाली থানা, নেহেরু পথ এবং ইনকাম ট্যাক্স গোলচक्कर দিয়ে অগ্রসর হয়ে পাটনা হাইকোর্টের কাছে ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরের মূর্তি পর্যন্ত পৌঁছাবে।

জনসভা সম্বোধন করবেন

ডঃ আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য বিরোধী নেতারা জনসভা সম্বোধন করবেন। এই জনসভা গণতন্ত্র এবং ভোটার অধিকারকে শক্তিশালী করার বার্তার উপর আলোকপাত করবে।

গণতন্ত্র রক্ষার জন্য নতুন সূচনা

কংগ্রেস নেতা পবন খেরা এই যাত্রাকে 'ধর্মীয় তীর্থযাত্রা'-র সঙ্গে তুলনা করেছেন যেখানে সকল ধর্ম ও সমাজের মানুষ অংশ নিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে পাটনায় এই যাত্রার সমাপ্তি আসলে শেষ নয়, বরং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এক নতুন সূচনা।

পোস্টার ও ব্যানারে সেজে উঠেছে পাটনা

দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিরোধী নেতাদের স্বাগত জানাতে পাটনা শহর সেজে উঠেছে। প্রধান প্রধান স্থানগুলিতে কংগ্রেস নেতা সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, এছাড়াও আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ এবং নেতা তেজস্বী যাদবের পোস্টার লাগানো হয়েছে। এই পোস্টারগুলি বিরোধী ঐক্যের বার্তা বহন করছে।

Leave a comment