বিহারের রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। জহানাবাদের প্রাক্তন সাংসদ অরুণ কুমার জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)-এ যোগদানের অনুষ্ঠান বিহার বন্ধের কারণে স্থগিত করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানটি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অরুণ কুমারের মধ্যে শত্রুতা থেকে বন্ধুত্বে রূপান্তরের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিল।
জহানাবাদ: বর্তমানে শত্রু থেকে বন্ধু হওয়ার মুহূর্তটি আরও কিছুটা অপেক্ষা চাইছে। বহু বছর ধরে বিচ্ছিন্ন থাকা সঙ্গীদের আবার গ্রহণ করতেও সময়ের প্রয়োজন হয়। এমনই একটি কাকতালীয় ঘটনা আজ দেখা গেল, যখন জেডিইউ (JDU) সভাকক্ষে পুরনো সহকর্মী, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং প্রাক্তন সাংসদ অরুণ কুমার একত্রিত হতে চলেছিলেন। যদিও, সম্ভবত সময় এই নতুন বন্ধুত্বকে মঞ্জুর করেনি, কিন্তু সময়ের অভাবে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সাক্ষাতের সুযোগ আরও বিলম্বিত হয়েছে।
মূল অনুষ্ঠানটি কি ছিল
প্রাক্তন সাংসদ অরুণ কুমারের জেডিইউ (JDU)-তে যোগদানের তারিখ ৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানে জেডিইউ (JDU) কার্যালয় এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে অরুণ কুমারকে স্বাগত জানানোর কথা ছিল। এটিকে '‘ভরত মেলাপে’'র মতো দেখা হচ্ছিল, যেখানে পুরনো রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা একই মঞ্চে এসে বন্ধুত্বের উদাহরণ স্থাপন করবেন।
কিন্তু বিহার বন্ধ এই অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানটি সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল। এদিকে, রাজ্য বিজেপি (BJP) কর্তৃক ঘোষিত বন্ধ, সময় এবং অনুষ্ঠানের রূপরেখাকে প্রভাবিত করে।
বিহার বন্ধের প্রভাব
বিহার বন্ধের কারণে অরুণ কুমারের যোগদান প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি হয়। বন্ধের সময় এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে অনুষ্ঠানটি কার্যকরভাবে আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রাক্তন সাংসদ অরুণ কুমার এটিকে শক্তি প্রদর্শনের একটি সুযোগ হিসেবেও কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তাঁর জন্য এটা জরুরি ছিল যে অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণ এবং প্রভাবশালীভাবে সম্পন্ন হোক।
কুমার शैलेंद्र, অরুণ কুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, জানিয়েছেন যে "“বিহার বন্ধের কারণে সকালের সময়টি উপযুক্ত হচ্ছিল না। তাই পারস্পরিক সম্মতিক্রমে যোগদান অনুষ্ঠানটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সম্মতি মেলার পর নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।”
নতুন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা
অরুণ কুমারের জেডিইউ (JDU)-তে যোগদান বিহারের রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অরুণ কুমারের কর্মক্ষেত্র জহানাবাদ, গয়া, আরভাল এবং নওয়াদা। তাঁর এই দলে যোগদান জেডিইউ (JDU)-এর অবস্থানকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির জন্য চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। এই যোগদানের মাধ্যমে অরুণ কুমার এবং নীতীশ কুমার উভয়েই তাদের পুরনো রাজনৈতিক মতপার্থক্য পিছনে ফেলে নতুনভাবে শুরু করতে চান। এই অনুষ্ঠানটি কেবল একটি যোগদান নয়, বরং রাজনৈতিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার পথেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রাক্তন সাংসদ অরুণ কুমার এবং জেডিইউ (JDU) নেতৃত্ব অনুসারে, নতুন তারিখ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। জেডিইউ (JDU) কার্যালয় এবং মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে সমন্বয় করে এটি কার্যকর এবং সুবিন্যস্তভাবে আয়োজন করা হবে। এর ফলে নিশ্চিত হবে যে অনুষ্ঠানে কোনো বিঘ্ন না ঘটে এবং সমস্ত সুরক্ষা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে কার্যকর থাকে।