ডিএ মামলার শুনানি আজও স্থগিত পরপর দুইবার পিছিয়ে বিচার

ডিএ মামলার শুনানি আজও স্থগিত পরপর দুইবার পিছিয়ে বিচার

সুপ্রিম কোর্টে আবারও পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি

আজ, মঙ্গলবারের দিনেও সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। চলতি মাসে এটি দ্বিতীয়বার, যখন মামলার শুনানি পিছিয়ে গেছে। জানা যায়, মামলাকারীদের মধ্যে এক আইনজীবীর অনুপস্থিতি ছিল। আইনজীবীদের একাংশের মতে, এ কারণেই আদালত মামলার শুনানি স্থগিত রেখেছে। পরবর্তী শুনানির তারিখ শীর্ষ আদালত থেকে জানানো হবে।

শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ ও বিচারপতির উপস্থিতি

ডিএ মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে। আজ আদালতে বিচারপতি কারোলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি সন্দীপ মেহতা। তবে মামলাকারীদের অনুপস্থিত আইনজীবীর কারণে শোনা হয়নি। এ ঘটনায় আদালতের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে।

মামলার পটভূমি

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ-এর সমতুল্য হারে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জন্য দাবি তুলে এই মামলা দায়ের করেছেন বিভিন্ন সরকারি কর্মী সংগঠন। শুরুতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT) ও কলকাতা হাইকোর্টের পথ পেরিয়ে, অবশেষে মামলা পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্টে।২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছিল, সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার অধিকার রাখেন। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। ইতিমধ্যেই ২৫ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হয়েছে। কিন্তু এখনও বাকি ডিএ মেটানো হয়নি।

রাজ্য ও কেন্দ্রের যুক্তি

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রের হারে ডিএ দিতে বাধ্য করার কোনও নিয়ম নেই। দেশের অন্যান্য রাজ্যও সবসময় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করে না। অন্যদিকে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আইন স্পষ্টভাবে কর্মীদের ন্যায্য প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে। তাই রাজ্য সরকারকে তা প্রদান করা বাধ্যতামূলক।

আইনজীবীদের বক্তব্য

মামলাকারীর আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার নিয়ম মানছে না। কেন্দ্র নিয়মিতভাবে ডিএ প্রদান করলেও রাজ্য তা দেয়নি। বিশেষ করে রাজ্যের ফ্রিকোয়েন্সি এবং বকেয়া পরিশোধ না করার বিষয়টি প্রধান সমস্যা হিসেবে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতেই আজ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রভাব ও পরবর্তী ধাপ

এ পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের অধিকার নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পরবর্তী শুনানি থেকে স্পষ্টতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজ্যকে বাকি ডিএ মেটাতে হবে কি না, তা পরবর্তী ধাপে নিশ্চিত হবে। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পরবর্তী শুনানি সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে কর্মীদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে।

উপসংহার

ডিএ মামলার স্থগিত শুনানি সরকারি কর্মীদের জন্য উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। তবে আইনগত প্রক্রিয়ার নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী তারিখে বিষয়টি পুনরায় শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রাপ্যতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মামলার গতি যতই ধীর হোক, কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে আদালত নিয়মিত তদারকি করছে।

Leave a comment