হিমাচলে রেল সম্প্রসারণে বিলম্বের জন্য সুখু সরকারকে দায়ী করলেন জয়রাম ঠাকুর

হিমাচলে রেল সম্প্রসারণে বিলম্বের জন্য সুখু সরকারকে দায়ী করলেন জয়রাম ঠাকুর

হিমাচল প্রদেশে রেল সম্প্রসারণে বিলম্বের জন্য সুখু সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার প্রকল্পগুলির জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করেছে, কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে জমি অধিগ্রহণের কাজ ধীর গতিতে চলায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

Himachal Pradesh: সিমলায় বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর বলেন, ২০২৫-২৬ সালের বাজেটে কেন্দ্র ২,৭১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের উদাসীনতা এবং জমি অধিগ্রহণে ঘাটতির কারণে ভানুপল্লী-বিলাসপুর বেরি সহ গুরুত্বপূর্ণ রেল প্রকল্পগুলিতে বিলম্ব হচ্ছে। ঠাকুর সুখু সরকারের বিরুদ্ধে প্রকল্পগুলিতে সহযোগিতা না করার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ম অনুযায়ী কাজ শেষ করার আবেদন জানিয়েছেন।

রেল প্রকল্পগুলিতে বিলম্বের প্রধান কারণ সুখু সরকারের উদাসীনতা

হিমাচল প্রদেশে রেল সম্প্রসারণের প্রকল্পগুলিতে ক্রমাগত বিলম্বের জন্য কংগ্রেসের সুখু সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর। ঠাকুর বলেন, রাজ্য সরকার তাদের দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাচ্ছে এবং রেল প্রকল্পগুলির জন্য প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ সহ তাদের অংশের কাজে সহযোগিতা করছে না। তিনি জানান, ভানুপল্লী-বিলাসপুর বেরি রেল লাইনের ভূমি অধিগ্রহণে ব্যাপক ঘাটতির কারণে প্রকল্পগুলির অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে, যেখানে কেন্দ্র সরকার এই প্রকল্পে ৫,২৫১ কোটি টাকা খরচ করেছে।

ঠাকুর আরও জানান, রাজ্য সরকারের ১,৭৮৯ কোটি টাকার দেনা এখনও বকেয়া রয়েছে, যার ফলে রেল প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করতে বিলম্ব হচ্ছে। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের তরফে রাজ্য সরকারকে দেওয়া চিঠিও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই উদাসীনতার মূল্য রাজ্যের উন্নয়নকে দিতে হচ্ছে, যা হিমাচলের জনতা এবং উন্নয়নের স্বার্থে নয়।

কেন্দ্র সরকারের বাজেট বরাদ্দ এবং প্রকল্পগুলির বর্তমান পরিস্থিতি

জয়রাম ঠাকুর জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্র সরকার হিমাচলের রেল প্রকল্পগুলির জন্য পর্যাপ্ত বাজেট সরবরাহ করছে। আর্থিক বছর ২০২৫-২৬ এর জন্য তিনটি প্রধান রেল প্রকল্পের জন্য মোট ২,৭১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত বছরের বাজেট থেকে বেশি। এর মধ্যে ভানুপল্লী-বিলাসপুর-বেরি রেল লাইনের জন্য ১,৭০০ কোটি টাকা, নাঙ্গাল ড্যাম-তালাওয়ারার জন্য ৫০০ কোটি এবং চণ্ডীগড়-বাদ্দির জন্য ৩০০ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ঠাকুর বলেন, ভানুপল্লী-বিলাসপুর-বেরি রেল লাইনটি ৬৩ কিলোমিটার দীর্ঘ, যেখানে নাঙ্গাল ড্যাম-তালাওয়ারা ৮৪ কিলোমিটার এবং চণ্ডীগড়-বাদ্দি ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই প্রকল্পগুলির কাজ চলছে, তবে হিমাচল প্রদেশ সরকারের বাজেটের অংশের পরিশোধের পরেই এই কাজগুলিতে আরও গতি আসবে। তিনি কেন্দ্র সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, গত তিন বছর ধরে রেল সম্প্রসারণের জন্য যে বাজেট পাওয়া যাচ্ছে, তা ইউপিএ সরকারের তুলনায় ২৫ গুণ বেশি।

প্রকল্পগুলিতে গতি আনতে রাজনৈতিক ঐক্য জরুরি

জয়রাম ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন রাজনৈতিক বিরোধ ত্যাগ করে প্রকল্পগুলির কাজ নিয়ম ও শর্ত অনুযায়ী সম্পন্ন করেন। উন্নত রেল নেটওয়ার্ক শুধু হিমাচলের অর্থনৈতিক অগ্রগতিই নয়, শিল্পায়ন এবং উন্নত সংযোগও নিশ্চিত করবে। রেল প্রকল্পগুলির ধীর অগ্রগতিতে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে, যা দ্রুত সংশোধন করা প্রয়োজন।

Leave a comment