দিল্লির ভালসওয়া ডেইরি এলাকায় নকল পান মশলা তৈরির একটি কারখানা ধরা পড়েছে। পুলিশ মালিক বিশালকে গ্রেফতার করেছে এবং উদ্ধার হওয়া যন্ত্রপাতি, প্যাকেজিং সামগ্রী ও ব্র্যান্ডেড পাউচগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
নতুন দিল্লি: দিল্লির আউটার নর্থ জেলার ভালসওয়া ডেইরি এলাকায় পুলিশ একটি ব্র্যান্ডেড কোম্পানির নামে গুটখা, পান মশলা ও খৈনি তৈরি করা একটি পাউচ কারখানার সন্ধান পেয়েছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে, উদ্ধার হওয়া সামগ্রী নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এবং কারখানার মালিককে গ্রেফতার করেছে। এই কারখানাটি একটি বাড়িতে গোপনে চালানো হচ্ছিল, কিন্তু কানপুরের একটি কোম্পানির সতর্কতা এবং ডিআইইউ টিমের তৎপরতায় এটি উদ্ঘাটিত হয়েছে।
কানপুরে নকল পান মশলা কারখানার উদ্ঘাটন
কানপুরের কমল কান্ত অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড তাদের ব্র্যান্ডেড পান মশলার নকল তৈরির খবর জানিয়েছিল। কোম্পানি তাদের অনুমোদিত নজরদারি সংস্থা, ব্রেভেস্টার ইনভেস্টিগেশন কোম্পানির সিদ্ধার্থ গৌরকে বাজারে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং অনিয়মগুলির একটি প্রতিবেদন তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছিল। সিদ্ধার্থ গৌর ভালসওয়া ডেইরি এলাকায় একাধিক ব্র্যান্ড যেমন – কমলাপছন্দ পান মশলা, শিখর পান মশলা এবং বিমল পান মশলার নকল পাউচ তৈরি হওয়ার তথ্য ডিআইইউ-কে দিয়েছিলেন।
ডিআইইউ ৯ই সেপ্টেম্বর এই মামলায় অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে কারখানা তল্লাশি করে যন্ত্রপাতি, প্যাকেজিং সামগ্রী, তৈরি পাউচ এবং অন্যান্য কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে কমলাপছন্দ প্যাকেজিং বক্সের ৩২ কেজি, কমলাপছন্দ প্যাকেজিং বক্সের ৩৮ কেজি, কমলাপছন্দ পাউচের ৩৭ কেজি এবং শিখর জর্দা পাউচের ৫টি রোল ছিল।
কারখানার মালিকের গ্রেফতার
পুলিশ কারখানার মালিককে মুকুন্দপুর, জনতা বিহারের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী বিশাল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিশাল তার অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশ এখন তার জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং কারখানাটি কতদিন ধরে চলছিল এবং এই ব্যবসায় আর কে কে জড়িত ছিল তা জানার চেষ্টা করছে।
ডিআইইউ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিশাল নকল পান মশলা এবং খৈনি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, পাউচ এবং প্যাকেজিং সামগ্রী ব্যবহার করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারে ব্র্যান্ডেড পান মশলার নকল সামগ্রী বিক্রি করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করা।
নকল পণ্যের ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞদের মতে, নকল পান মশলা এবং গুটখা শুধুমাত্র ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং এটি ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলির ব্যবসা এবং গ্রাহকদের আস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। নকল পণ্যগুলিতে প্রায়শই ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং অবৈধ উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জনসাধারণকে আবেদন করেছেন যে তারা যেন শুধুমাত্র প্রত্যয়িত এবং লাইসেন্সধারী বিক্রেতাদের কাছ থেকেই পান মশলা, গুটখা এবং খৈনি কেনেন। কোনো সন্দেহজনক বা অননুমোদিত পণ্য ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন এবং এই ধরনের কার্যকলাপের তথ্য পেলে অবিলম্বে পুলিশকে জানান।
কানপুর কোম্পানির সতর্কতা
কমল কান্ত অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড এই মামলায় সতর্কতা দেখিয়েছে এবং ব্রেভেস্টার ইনভেস্টিগেশন কোম্পানির মাধ্যমে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়েছে। কোম্পানি তাদের ব্র্যান্ডের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রতিনিধিকে বাজারে নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছিল। এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে ব্র্যান্ডেড পণ্যের নিরাপদ বিতরণ এবং নকল পণ্যের বিরুদ্ধে নজরদারি কতটা জরুরি।