দিল্লির নিউ উসমানপুরের একটি হোটেলে ব্যবসায়ী মোহিত গর্গ (২৬) সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মারা গেছেন। পরিবার বিষাক্ত পদার্থের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, অন্যদিকে পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লির নিউ উসমানপুর এলাকায় অবস্থিত একটি হোটেলে ২৬ বছর বয়সী ব্যবসায়ী মোহিত গর্গ ওরফে মান্নুর সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে এবং মৃতদেহের ময়নাতদন্তের সুপারিশ করেছে। মোহিতের শরীর নীল হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা বলছেন যে তাকে কোনো বিষাক্ত পদার্থ দেওয়া হতে পারে।
হোটেলে পার্টির সময় মৃত্যু
ডিসিটি আশিস মিশ্র জানিয়েছেন যে মোহিত সেই একই ঘরে বন্ধুদের সাথে পার্টি করছিল। পার্টির সময়ই সে হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে। হোটেল কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। পুলিশ অবিলম্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘর থেকে সমস্ত সম্ভাব্য প্রমাণ সংগ্রহ করে।
ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং ফরেনসিক টিম (এফএসএল) হোটেলে থাকা সরঞ্জাম এবং ঘরের অবস্থা পরীক্ষা করেছে। প্রাথমিক পরিদর্শনে ঘরে কোনো হিংসাত্মক চিহ্ন পাওয়া যায়নি, কিন্তু মৃত ব্যক্তির নীল হয়ে যাওয়া শরীর দেখে এটি সাধারণ মৃত্যুর থেকে ভিন্ন বলে মনে হচ্ছে।
মৃতদেহের ময়নাতদন্ত এবং তদন্ত চলছে
পুলিশ মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল বোর্ডের কাছে পাঠানোর সুপারিশ করেছে। সোমবার ময়নাতদন্ত করা হবে এবং তার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ প্রকাশ করা সম্ভব হবে। ডিসিটি মিশ্র বলেছেন যে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো তাড়াতাড়ি হবে।
পুলিশ হোটেলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ, মৃত ব্যক্তির বন্ধু এবং অন্যান্য উপস্থিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তদন্ত দল এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে যে ঘটনার সময় ঘরে কী ঘটেছিল এবং কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে মোহিতের ক্ষতি করেছিল কিনা।
দিল্লিতে সন্দেহজনক মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান ঘটনা
দিল্লিতে সম্প্রতি আরও কিছু সন্দেহজনক মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগে দ্বারকার উত্তম নগর থানা এলাকায় ৩৬ বছর বয়সী করণ দেবের বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয়েছিল। পরিবার ময়নাতদন্ত প্রত্যাখ্যান করেছিল, কিন্তু পুলিশ মৃতদেহকে হরিনগর অবস্থিত হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সন্দেহজনক মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা উদ্বেগের বিষয় এবং এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। দিল্লি পুলিশ স্পষ্ট করেছে যে মোহিত গর্গের মৃত্যুর সত্যতা উদঘাটনে কোনো কসুর করা হবে না।