দিল্লি মেট্রোতে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিনের অভাব: হাইকোর্টের নোটিশ

দিল্লি মেট্রোতে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিনের অভাব: হাইকোর্টের নোটিশ

দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লি মেট্রো স্টেশনগুলিতে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন এবং ডিসপোজাল ইউনিটের অভাব নিয়ে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনকে (ডিএমআরসি) নোটিশ জারি করেছে। 

Delhi Metro: দিল্লি হাইকোর্ট দিল্লি মেট্রো স্টেশনগুলিতে মহিলাদের জন্য স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন এবং ডিসপোজাল ইউনিটের অভাব নিয়ে একটি জনস্বার্থ याचিকার ভিত্তিতে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন এবং অন্যান্য পক্ষকে নোটিশ জারি করে জবাব চেয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি. কে. উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেডেলার বেঞ্চ শুনানির সময় বলেছে যে, এই পিটিশনে উত্থাপিত বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুতর, কারণ মেট্রো স্টেশনগুলিতে টয়লেটে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন না থাকার কারণে মহিলাদের গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

আদালত ডিএমআরসি-কে দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছে, যেখানে কতগুলি স্টেশনে মেশিন লাগানো আছে এবং সেগুলির মধ্যে কতগুলি চালু আছে, তা উল্লেখ করতে হবে। পরবর্তী শুনানি ২০২৫ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

শুনানির সময় হাইকোর্টের অসন্তোষ

প্রধান বিচারপতি ডি. কে. উপাধ্যায় এবং বিচারপতি তুষার রাও গেডেলাকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ শুনানির সময় মেশিনের অভাব নিয়ে ডিএমআরসি-এর অস্পষ্ট উত্তরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। আদালত বলেছে যে, এই বিষয়টি মহিলাদের সুবিধা এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর। হাইকোর্ট ডিএমআরসি-কে জিজ্ঞাসা করেছে যে, যখন মেট্রো স্টেশন তৈরি করা হয়, তখন তাতে টয়লেটের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে এর রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনা কে করে?

ডিএমআরসি-এর আইনজীবী প্রথমে দাবি করেন যে, তাদের প্রধান কাজ হল পরিবহন ব্যবস্থার পরিচালনা এবং পরিকল্পনা করা। এর উত্তরে আদালত কড়া মন্তব্য করে বলেছে: যদি টয়লেট আপনার দায়িত্ব হয়, তাহলে আপনি কেন বলছেন যে আপনার দায়িত্ব কেবল ট্রেন পরিচালনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ?

আবেদনকারীর দাবি

আবেদনকারী আদালতে জানিয়েছেন যে, দিল্লি মেট্রোর মোট ২৮৬টি স্টেশনের মধ্যে মাত্র ৪০টি স্টেশনে স্যানিটারি ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৬-৭টি মেশিন চালু আছে, যার কারণে মহিলাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আবেদনকারীর বক্তব্য হল, অনেক স্টেশনে মেশিন লাগানো থাকলেও সেগুলির পরিচালনা বা রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো হচ্ছে না, ফলে মহিলাদের টয়লেটে প্রয়োজনীয় সুবিধা পেতে সমস্যা হচ্ছে।

শুনানির সময় ডিএমআরসি-এর আইনজীবী আদালতের কাছে জবাব দাখিল করার জন্য সময় চেয়েছেন। তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন যে, মেট্রোর প্রধান কাজ হল পরিবহন পরিচালনা করা এবং মেশিনের পরিস্থিতির সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে সময় লাগবে। হাইকোর্ট ডিএমআরসি-কে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, তারা যেন দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত স্টেশনের পরিস্থিতি এবং মেশিনগুলির কর্মক্ষমতার বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করে।

মহিলাদের জন্য সুবিধার অভাব নিয়ে উদ্বেগ

হাইকোর্ট এই মামলায় আরও বলেছে যে, গণপরিবহন এবং মেট্রোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলিতে মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সুবিধা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আদালত ডিএমআরসি-কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, টয়লেট এবং স্যানিটারি মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণও তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, শুধুমাত্র ট্রেন পরিচালনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ মহিলাদের সুবিধা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে শুধুমাত্র মেট্রো ব্যবহারকারীদের সুরক্ষাই বাড়বে না, বরং सार्वजनिक স্থানে মহিলাদের সুবিধা এবং সম্মানও নিশ্চিত হবে।

পরবর্তী শুনানি ২০২৫ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ততদিন পর্যন্ত ডিএমআরসি-কে এই রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, সমস্ত স্টেশনের মেশিনের কর্মক্ষমতার পরিস্থিতি এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিবরণ দেওয়া বাধ্যতামূলক।

Leave a comment