মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কৃষকদের দাবি পূরণ করে ল্যান্ড পুলিং পলিসি বাতিল করা হয়েছে। এর আগে ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে পাঞ্জাবের ১৫৪টি ব্লকের পুনর্গঠনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
চণ্ডীগড়: পাঞ্জাবে কৃষকদের ক্রমাগত দাবির মধ্যে রাজ্য সরকার ল্যান্ড পুলিং পলিসি ২০২৫ বাতিল করার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এই নীতি বাতিল করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় এবং গ্রামীণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নতুন দিশা দেবে।
কৃষক সংগঠনগুলি ল্যান্ড পুলিং পলিসির বিজ্ঞপ্তি বাতিল করার দাবি জানিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল যে এই নীতি ছোট কৃষক এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেতে পারে। সরকার তাদের দাবিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছে এবং পলিসি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্যাবিনেট বৈঠকে নেওয়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
ক্যাবিনেটের বৈঠকে শুধুমাত্র ল্যান্ড পুলিং পলিসিই নয়, আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:
- ল্যান্ড পুলিং নীতি ২০২৫-এর বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের সম্মতি – কৃষকদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
- পাঞ্জাব সমবায় সমিতি আইন, ১৯৬১-এর সংশোধন – সমবায় সংস্থাগুলিকে আরও সক্ষম এবং আধুনিক করার জন্য সংশোধন অনুমোদন করা হয়েছে।
- পঞ্চায়েত উন্নয়ন সচিবের পদ তৈরি করা – রাজ্যে পঞ্চায়েত উন্নয়ন এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সুদৃঢ় করতে এই পদ তৈরি করা হয়েছে।
- ফসলের কেনার জন্য মন্ত্রীদের একটি দল গঠন – কৃষকদের তাদের উৎপাদনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে মন্ত্রীদের দল গঠনের পূর্ববর্তী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
- ক্যাবিনেট সাব-কমিটি গঠন – বিভিন্ন নীতি সিদ্ধান্ত এবং উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকির জন্য সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ব্লকগুলির পুনর্গঠনের প্রভাব
এর আগে ৩০ জুলাই ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত ক্যাবিনেট বৈঠকে পাঞ্জাবের ১৫৪টি ব্লকের পুনর্গঠনকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এই পুনর্গঠনের পরেই পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই পদক্ষেপ রাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে এবং স্থানীয় প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে সাহায্য করবে। কৃষকদের স্বার্থের পাশাপাশি রাজ্য সরকার কনভার্সন নীতিকেও অনুমোদন দিয়েছে।
এর অধীনে, শিল্প প্লটগুলি বাণিজ্যিক কাজের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পদক্ষেপ পাঞ্জাবে শিল্প উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে, যা কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ত্বরান্বিত করবে। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বৈঠকের পর বলেন যে সরকার সর্বদা কৃষকদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে রাজ্যে কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অগ্রাধিকার এবং কৃষকদের দাবিকে উপেক্ষা করা হবে না।