দিল্লি: দিল্লির দক্ষিণ অংশে কালকাজী এবং মোদী মিল ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সাবিত্রী সিনেমা এবং কালকাজী ফ্লাইওভারের দ্বৈতকরণ করা হবে। এর ফলে চিত্ররঞ্জন পার্ক, গ্রেটার কৈলাশ এবং নেহরু প্লেসের মতো এলাকার ট্র্যাফিক জ্যামে স্বস্তি মিলবে।
দিল্লি: দিল্লি সরকার এবং पीडब्ल्यूডি (PWD) দক্ষিণ দিল্লিতে প্রতিদিনের ট্র্যাফিক জ্যাম কাটিয়ে ওঠার জন্য একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এর মধ্যে কালকাজী এবং মোদী মিলের কাছে ফ্লাইওভার নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চিত্ররঞ্জন পার্ক, গ্রেটার কৈলাশ, চিরাগ দিল্লি এবং নেহরু প্লেসের মতো ব্যস্ততম স্থানগুলিতে ট্র্যাফিক সহজ করার জন্য এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
ভূমি পরীক্ষা এবং ভূতাত্ত্বিক জরিপ
ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ শুরু করার আগে, পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (PWD) ভূমি পরীক্ষা এবং ভূতাত্ত্বিক জরিপ শুরু করেছে। এর জন্য মাটিতে গভীর বোরওয়েল খনন করা হচ্ছে এবং মাটির নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে ফ্লাইওভারের ভিত্তি শক্তিশালী এবং নিরাপদ হবে।
সাবিত্রী সিনেমা এবং কালকাজী ফ্লাইওভারের জন্য বিশেষ পরীক্ষা করা হচ্ছে। যন্ত্রপাতির সাহায্যে মাটির ভূগর্ভস্থ অবস্থা মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং মাটিতে পাথর থাকলে তার গভীরতা ও দৃঢ়তা নির্ধারণ করা হচ্ছে।
সাবিত্রী সিনেমা ফ্লাইওভারের দ্বৈতকরণ করা হবে
পরিকল্পনা অনুযায়ী, সাবিত্রী সিনেমার সামনের বর্তমান একমুখী (single) ফ্লাইওভারটিকে দ্বিমুখী করা হবে। এই ফ্লাইওভারটি আইআইটি (IIT)-এর দিকে এবং মোদী মিলের দিকে উভয় দিকেই ট্র্যাফিক চলাচল সহজ করবে।
বর্তমানে এখানে শুধুমাত্র একটি ফ্লাইওভার রয়েছে, যা ২০০১ সালে নির্মিত হয়েছিল। আইআইটি (IIT) পাশ থেকে মোদী মিলের দিকে যাওয়ার জন্য কোনো ফ্লাইওভার নেই, যার ফলে সকাল ও সন্ধ্যায় প্রচণ্ড ট্র্যাফিক জ্যাম হয়। নাগরিকরা গত ১৫ বছর ধরে এই এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবি জানাচ্ছেন।
কালকাজী ফ্লাইওভার এবং মোদী মিল সংযোগ
কালকাজী মন্দিরের নিকটবর্তী ফ্লাইওভারটিরও দ্বৈতকরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই ফ্লাইওভারটি মোদী মিলের নিকটবর্তী রেল লাইন ফ্লাইওভারের সাথে সংযুক্ত করা হবে। এর ফলে নেহরু প্লেস থেকে মোদী মিল এবং মোদী মিল থেকে নেহরু প্লেস পর্যন্ত ভ্রমণকারী যাত্রীদের ট্র্যাফিকের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
এই পরিবর্তনের ফলে কালকাজী, চিত্ররঞ্জন পার্ক, গ্রেটার কৈলাশ, চিরাগ দিল্লি এবং নেহরু প্লেসের মতো এলাকার ট্র্যাফিকের উন্নতি হবে।
প্রকল্পের বাজেট এবং আর্থিক অনুমোদন
এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ৪১২ কোটি টাকা। এই তহবিল সেন্ট্রাল রোড ফান্ড (CRF) থেকে দিল্লির জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে প্রদান করা হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের (Union Housing and Urban Affairs Ministry) অনুমোদন প্রয়োজন। প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন হলে, पीडब्ल्यूडी (PWD) তেমন অনুরোধ করতে পারে।
দিল্লি সরকার এপ্রিল ২০২৫ সালে এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। তবে, সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে এর প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ, গাছ কাটা এবং তহবিলের মতো সমস্যার কারণে কাজে বিলম্ব হয়েছিল।
নির্মাণ কাজের রূপরেখা
ফ্লাইওভারগুলির নির্মাণ কাজ পর্যায়ক্রমে করা হবে। প্রথমে, ভূমি এবং ভূতাত্ত্বিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। এরপর, ভিত্তি স্থাপন করা হবে এবং ফ্লাইওভারগুলির স্তম্ভ ও সুপারস্ট্রাকচারের নির্মাণ করা হবে। সাবিত্রী সিনেমা এবং কালকাজী উভয় ফ্লাইওভারের নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর, সেগুলিকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা হবে।
এছাড়াও, ফ্লাইওভারগুলির সাথে রাস্তাগুলির প্রশস্তকরণ এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থাকেও আধুনিক করা হবে। এর ফলে যাত্রীদের দ্রুত এবং নিরাপদ পথ পাওয়া যাবে।