দিল্লি: বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য নিষ্পত্তিতে দুটি নতুন আধুনিক প্ল্যান্টের সিদ্ধান্ত

দিল্লি: বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য নিষ্পত্তিতে দুটি নতুন আধুনিক প্ল্যান্টের সিদ্ধান্ত

দিল্লি সরকার বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য নিষ্পত্তির জন্য দুটি নতুন আধুনিক প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে এবং তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।

নয়াদিল্লি: দিল্লি সরকার রাজধানীতে বায়ো-মেডিকেল বর্জ্যের নিরাপদ নিষ্পত্তির জন্য একটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে। পরিবেশ মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা নির্দেশ দিয়েছেন যে দুটি নতুন আধুনিক প্ল্যান্ট স্থাপন করা হোক। এই প্ল্যান্টগুলি বিল্ড-অন-অপারেট (BOO) মডেলের ভিত্তিতে ১০ বছরের জন্য তৈরি করা হবে। তিন মাসের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু করা হবে।

পর্যালোচনা বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত

পরিবেশ মন্ত্রকের পর্যালোচনা বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে দিল্লিতে বর্তমানে পরিচালিত দুটি বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য ইউনিট রাজধানীতে উৎপন্ন সমস্ত বর্জ্য পরিচালনা করতে সক্ষম নয়। প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে কম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, আরও বেশি সংখ্যক আধুনিক প্ল্যান্ট রয়েছে, যার ফলে দিল্লির জন্য নতুন সুবিধার প্রয়োজন অনুভূত হয়েছে।

এই পর্যালোচনায় জমি, প্রযুক্তিগত সুবিধা, লজিস্টিক্স এবং ক্ষমতার ভিত্তিতে অধ্যয়ন করা হয়েছে। নিলোঠি প্ল্যান্ট, যা বেশ কয়েকবার এক্সটেনশন নিয়ে চলছিল, সেটিকে সরিয়ে দুটি নতুন আধুনিক প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য শুধু সমস্যার অস্থায়ী সমাধান নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী সমাধান তৈরি করা।

টেন্ডার নোটিশ শীঘ্রই জারি করা হবে

পরিবেশ মন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা স্পষ্ট করেছেন যে দুটি নতুন বায়ো-মেডিকেল বর্জ্য প্ল্যান্টের জন্য একটি স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। টেন্ডারগুলি বিল্ড-অন-অপারেট (BOO) মডেলের ভিত্তিতে হবে, যেখানে নির্মাণ, পরিচালনা এবং অধিকার ১০ বছরের জন্য দেওয়া হবে।

সিরসা বলেছেন যে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি কাউন্সিল (NPC)-এর সহায়তা নেওয়া হবে। তিন মাসের মধ্যে কোম্পানিগুলির দ্বারা জমা দেওয়া টেন্ডারগুলি মূল্যায়ন করে লেটার অফ অ্যাওয়ার্ড (LOA) জারি করা হবে, যাতে অবিলম্বে চুক্তিতে স্বাক্ষর করে কাজ শুরু করা যায়।

DPCC-কে দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট নির্দেশ

পরিবেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে DPCC অফিসে একটি ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড তৈরি করা হবে। এই ড্যাশবোর্ডে প্রতিদিন টেন্ডার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি, প্ল্যান্টের স্থানের উপলব্ধতা, প্রয়োজনীয় অনুমোদন, অপারেটর নিয়োগ এবং কমিশনিংয়ের তথ্য পাওয়া যাবে।

সিরসা বলেছেন যে এর ফলে শুধু প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাই বাড়বে না, বরং নাগরিক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে বিশ্বাসও দৃঢ় হবে। এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজধানীর অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার একটি অংশ।

Leave a comment