Deserted Village: নদীর ভাঙনে শূন্য পূর্ব বর্ধমানের খেড়ুয়া গ্রাম, মন্দির-বাড়িঘর আজ নিস্তব্ধ ধ্বংসাবশেষ

Deserted Village: নদীর ভাঙনে শূন্য পূর্ব বর্ধমানের খেড়ুয়া গ্রাম, মন্দির-বাড়িঘর আজ নিস্তব্ধ ধ্বংসাবশেষ

Deserted Village: পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের অন্তর্গত খেড়ুয়া গ্রাম একসময় ছিল প্রাণচঞ্চল। বড় খেলার মাঠ, পুকুর, মন্দির, উৎসব—সবকিছুতে ভরপুর ছিল গ্রামীণ জীবন। কিন্তু আজ তা সম্পূর্ণ জনশূন্য। অজয় নদের ভাঙনে গ্রামবাসীরা ছেড়ে গেছেন তাঁদের চিরচেনা ভিটেমাটি। বর্তমানে মন্দির-বাড়িঘর সবই নিস্তব্ধ, অথচ জেগে আছে শুধু স্মৃতি।

প্রাণচঞ্চল গ্রাম আজ ইতিহাস

খেড়ুয়া একসময় ছিল হাজারেরও বেশি পরিবারের আবাসস্থল। দুর্গাপুজো থেকে দোল—সব উৎসবে মাতোয়ারা হতেন মানুষ। আজ সেখানে শুধু ধ্বংসাবশেষ, নেই প্রাণের ছোঁয়া।

অজয় নদের ভাঙনের নির্মম পরিণতি

গ্রামের বর্তমান চিত্র জানাতে গিয়ে নতুন খেড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা দেবকুমার ধারা বলেন, “অজয় নদের ভাঙনের কারণে বাধ্য হয়ে ছাড়তে হয়েছে পুরনো গ্রাম। বহু মানুষের ভিটেমাটি নদীতে তলিয়ে গেছে, মন্দির-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

মন্দির আছে, বিগ্রহ নেই

আজও খেড়ুয়া গ্রামে রয়েছে রাধামাধবের মন্দির ও কিছু পাকা ঘরবাড়ি। কিন্তু সেগুলোও জঙ্গলে ঢাকা পড়ে গেছে। মন্দিরে নেই বিগ্রহ, ঘরে নেই মানুষ। শুধু শূন্যতা আর নিস্তব্ধতা।

নতুন গ্রামে নতুন জীবন

গ্রামবাসীরা অজয় নদের ভাঙনের তীব্র আঘাতে দূরে সরে গিয়ে গড়েছেন নতুন খেড়ুয়া গ্রাম। সেখানেই চলছে তাঁদের জীবনযাত্রা। তবে পুরনো গ্রামের স্মৃতি আজও তাঁদের মনে রয়ে গেছে।

আবেগে ভরপুর স্মৃতি

স্থানীয় বাসিন্দা সন্তু ঘোষ বলেন, “আমার জন্ম নতুন খেড়ুয়া গ্রামে হলেও বাবারা সবসময় পুরনো গ্রামের কথা বলতেন। তাঁদের শিকড় সব ওই গ্রামে। তাই আজও মনে কষ্ট হয়।” পুরনো গ্রাম আজ যেন অতীতের শিকড় আঁকড়ে থাকা এক আবেগঘন স্মৃতিস্তম্ভ।

অজয় নদের ভাঙন কেড়ে নিয়েছে এক ঐতিহ্যবাহী গ্রামকে। আজ খেড়ুয়া শুধু ইতিহাস, স্মৃতির পাতায় অম্লান। পথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা নিস্তব্ধ মন্দির ও শূন্য বাড়িঘর যেন বারবার মনে করিয়ে দেয়—এখানেই একসময় ছিল প্রাণভরা এক গ্রাম।

Leave a comment