বাগে́শ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর পণ্ডিত ধীরে́ন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী তাঁর ২৯তম জন্মদিনকে সামাজিক সংস্কার এবং ধার্মিক ঐক্যের মঞ্চ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর-এ অবস্থিত গঢ়া গ্রামে লক্ষাধিক ভক্তের উপস্থিতিতে বাবা শুক্রবার জাতপাত ও ভেদাভেদকে দেশের সবচেয়ে বড়ো ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং তা দূর করার সংকল্প করেন।
ধীরে́ন্দ্র শাস্ত্রী আবেগপূর্ণভাবে বলেন, ‘এবার সময় এসে গেছে যখন আমরা গ্রাম-গ্রামান্তরে, পথে-ঘাটে গিয়ে মানুষের সঙ্গে মিশব এবং তাঁদের মধ্যে হিন্দুত্বের চেতনা জাগ্রত করব।’ এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ‘জয় শ্রীরাম’ এবং ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ধ্বনিতে চারপাশ মুখরিত হয়ে ওঠে। একদিন আগে প্যান্ডেল ভেঙে পড়ার ঘটনার কারণে অনুষ্ঠানটি সাদাসিধেভাবে পালন করা হয়, তবে ভক্তিশ্রদ্ধায় কোনো ত্রুটি দেখা যায়নি।
ভক্তদের কাছে অভিনব উপহারের আবদার
জন্মদিনের এই বিশেষ মুহূর্তে ধীরে́ন্দ্র শাস্ত্রী তাঁর অনুসারীদের কাছে উপহারের আবদার করেন—কিন্তু সেটি কোনো বস্তুগত জিনিস ছিল না। তিনি অনুরোধ করেন, উপহার হিসেবে তিনি হিন্দু রাষ্ট্রের সংকল্প, জাতপাত থেকে মুক্তি, ধর্মান্তকরণে বিরতি এবং ভারতকে পুনরায় বিশ্বগুরু বানানোর প্রতিশ্রুতি চান। তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে বিশ্ব শান্তি বজায় থাকে এবং বিশ্বযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি এড়ানো যায়।’
দক্ষিণেও বাজবে সনাতনের ডঙ্কা
এই অনুষ্ঠানে চেন্নাই সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বহু ভক্তের সমাগম হয়েছিল। তিনি ঘোষণা করেন, খুব শীঘ্রই বাবার দরবার দক্ষিণ ভারতেও বসবে, যাতে সনাতন ধর্মের বিস্তার সারা ভারতে হতে পারে। এই সময় বাবা তাঁর আসন্ন পদযাত্রার ঘোষণাও করেন, যা ব্রজ অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর দলের দায়িত্বগুলিও স্পষ্ট করেন।
এবার হিন্দুত্বের জাতীয় মুখ
কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ছতরপুরে সীমাবদ্ধ থাকলেও ধীরে́ন্দ্র শাস্ত্রী এখন দেশ-দুনিয়ায় হিন্দু আস্থা ও জাতীয়তাবাদের এক উজ্জ্বল কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন। বিহার, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড থেকে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিজি পর্যন্ত তাঁর ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছেন। দেশ-বিদেশে তাঁর দরবার বসে এবং কোটি কোটি মানুষের শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁরা তাঁকে শুনতে ও আরজি পেশ করতে আসেন।