রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার জাহাজপুর শহরে শুক্রবার রাতে সামান্য একটি বিবাদ গুরুতর রূপ নেয়। ২৫ বছর বয়সী যুবক সিতারাম কীরকে একদল লোক বেপরোয়াভাবে মারধর করে। একটি ঠেলাগাড়ি ও গাড়ির সামান্য ধাক্কা লাগা নিয়ে শুরু হওয়া এই বিবাদ কয়েক মিনিটের মধ্যেই হিংসাত্মক ঝগড়ায় পরিণত হয়, যেখানে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। সিতারাম এবং অভিযুক্ত ভিন্ন সম্প্রদায়ের হওয়ায় বিষয়টি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার রূপ নেয়।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বিধায়ক সহ শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার, নিহত পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান অভিযুক্ত শরিফকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ১৬ জন চিহ্নিত ও ২০ জন অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় ১০টি থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহররম ও দেবশয়নী একাদশীতে দ্বৈত চ্যালেঞ্জ
জাহাজপুরে উত্তেজনার মধ্যে, প্রশাসনের সামনে মৃতের ময়নাতদন্ত করে তার দেহ টোঙ্কের পৈতৃক গ্রামে পাঠানো একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও গুরুতর, কারণ রবিবার মহররম ও দেবশয়নী একাদশী-র মতো দুটি বড় উৎসব একসঙ্গে পালিত হচ্ছে। এমতাবস্থায়, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে এবং সব স্তরে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
কুম্ভलगড়েও মহররমকে কেন্দ্র করে বিতর্ক
রাজসামন্দ জেলার কুম্ভलगড়েও মহররমের মিছিলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মিছিলের রুট ছোট করার বিষয়ে সম্মতি তৈরি করেছে, তবে মাঠের পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ভিলওয়ারার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হলে মহররমের কোনো মিছিল করতে দেওয়া হবে না।
যদিও শনিবার সকালে হিন্দু সংগঠনগুলি তাদের প্রস্তাবিত প্রতিবাদ স্থগিত করেছে, তবে স্থানীয় বাজার খোলার বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। জেলা কালেক্টর ও পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন এবং এলাকায় উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালাচ্ছেন।