গাজিয়াবাদের বাসিন্দা পওয়ার তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে তাঁর ভিডিও তৈরির উদ্দেশ্য ছিল ভুয়ো খবর ফাঁস করা। তিনি জানান যে কিছু লোক ভিউ এবং লাইক পাওয়ার জন্য ভুয়ো ভিডিও প্রকাশ করেছে।
গাজিয়াবাদ: পূর্ব দিল্লির নির্মাণ বিহারে অবস্থিত মহিন্দ্রা শোরুমে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শোরুম থেকে নতুন মহিন্দ্রা থার (Mahindra Thar) কেনার সময় এক মহিলা চালকের গাড়ি প্রথম তলা থেকে ভাঙা কাঁচের মধ্যে দিয়ে সোজা রাস্তায় পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে মহিলার মৃত্যুর ভুয়ো খবরও ছিল। এবার গাজিয়াবাদের বাসিন্দা পওয়ার, যিনি এই দুর্ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন, ইনস্টাগ্রামে এসে এই গুজবগুলোর প্রতিবাদ করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবের প্রতিবাদ
পওয়ার তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেছেন, এই ভিডিও তৈরির উদ্দেশ্য ছিল ভুয়ো খবর ফাঁস করা। কিছু লোক ভিউ এবং লাইক পাওয়ার জন্য ভুল ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে আমার নাক ভেঙে গেছে, আমার হাড় ভেঙে গেছে এবং এমনকি আমি মারাও গেছি। আমি স্পষ্ট করতে চাই যে এগুলি সবই মিথ্যা খবর। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। তিনি আরও বলেন: আমি জীবিত আছি, মৃত নই। দয়া করে ভুয়ো ভিডিও এবং মিথ্যা খবর ছড়ানো বন্ধ করুন।
দুর্ঘটনাটি কিভাবে ঘটল?
পওয়ার দুর্ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ শেয়ার করে জানিয়েছেন যে ঘটনার সময় তিনি তাঁর পরিবার এবং একজন সেলসম্যানের সাথে গাড়িতে ছিলেন। তিনি বলেন, গাড়িটি উচ্চ RPM-এ চলছিল এবং সেলসম্যান আমাদের আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। কিন্তু হঠাৎ এর গতি বেড়ে যায় এবং গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারানো যায়। গাড়িটি শোরুমের প্রথম তলা থেকে কাঁচ ভেঙে নিচে রাস্তায় পড়ে যায়।
গাড়িটি নিচে নামার সাথে সাথেই এয়ারব্যাগ খুলে যায় এবং গাড়িতে থাকা সবাই নিরাপদে বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, আমরা তিনজন সামনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসি এবং আমাদের কারও কোনো আঘাত লাগেনি।
কেনার পরপরই দুর্ঘটনা
তথ্য অনুযায়ী, মহিলাটি সোমবার সন্ধ্যায় মহিন্দ্রা শোরুম থেকে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি নতুন থার কিনেছিলেন। তিনি শোরুমে গাড়িটির ঐতিহ্যবাহী পুজোও সেরেছিলেন। এই সময়, গাড়িটির চাকা লেবুর উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার রীতিনীতি পালন করতে গিয়ে তিনি ভুলবশত অ্যাক্সিলারেটর বেশি টিপে ফেলেন। গাড়িটি এত দ্রুত গতিতে আসে যে এটি প্রথম তলার কাঁচ ভেঙে ফেলে এবং প্রায় ১৫ ফুট নিচে রাস্তায় পড়ে যায়। ঘটনার সময় গাড়িতে পওয়ার এবং তাঁর পরিবার ছাড়াও শোরুমের একজন কর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনার পর অনেক প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে কোনও নতুন গাড়ি ডেলিভারির আগে সুরক্ষা মানগুলির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। বিশেষ করে যখন শোরুমটি উপরের তলায় থাকে, তখন এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও মানুষ শোরুমের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এবং তদন্তের দাবি জানাচ্ছে যে কিভাবে এত বড় একটি গাড়ি সহজেই কাঁচ ভেঙে নিচে পড়ে যেতে পারে।