ডায়ালিসিস করানো রোগীদের মধ্যে মানসিক চাপ সাধারণ। বারবার হাসপাতালে যাওয়া, যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল থাকা এবং শারীরিক দুর্বলতা তাদের মানসিকভাবে ক্লান্ত করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে রোগীদের মনোবল দৃঢ় হয়, চাপ কমে এবং জীবনের মান উন্নত হয়। এই সময় পরিবারের সমর্থনও অপরিহার্য।
Dialysis experience: ডায়ালিসিস একটি দীর্ঘ এবং নিরন্তর চলমান প্রক্রিয়া, যা কিডনি বিকল হলে রক্ত থেকে টক্সিন অপসারণের জন্য করা হয়। গাজিয়াবাদের এমএমজি হাসপাতালের ডাঃ এ.কে. বিশ্বকর্মা অনুসারে, ডায়ালিসিস রোগীদের মধ্যে মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ বাড়াতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কাউন্সেলিং অপরিহার্য, কারণ এটি রোগীকে পরিস্থিতি মেনে নিতে, ইতিবাচক চিন্তা বিকশিত করতে এবং চিকিৎসার সাথে আরও ভালোভাবে সহযোগিতা করতে সাহায্য করে। পরিবারের মানসিক সমর্থনও মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডায়ালিসিস রোগীদের মধ্যে মানসিক চাপ
ডায়ালিসিস করানো রোগীরা প্রায়শই মানসিক চাপের সম্মুখীন হন। বারবার হাসপাতালে যাওয়া, যন্ত্রের উপর নির্ভরশীল থাকা এবং শারীরিক দুর্বলতা তাদের ক্লান্ত করে তোলে। অনেক রোগীর মনে হয় যে তাদের জীবন এখন অন্যের উপর নির্ভরশীল। এই অনুভূতি বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং নিজের প্রতি আফসোস বাড়াতে পারে। ডায়ালিসিসের সময় শারীরিক ক্লান্তি, মেজাজের পরিবর্তন, ঘুমের অভাব এবং ক্ষুধামন্দার মতো সমস্যাগুলিও সাধারণ। চিকিৎসার ক্রমাগত খরচ এবং জীবনযাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ হারানোর অনুভূতিও চাপ বাড়ায়। এই কারণে, ডায়ালিসিস রোগীদের জন্য কেবল শারীরিক যত্নই নয়, মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাও অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে।
কাউন্সেলিং কেন জরুরি
গাজিয়াবাদের এমএমজি হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগে ডাঃ এ.কে. বিশ্বকর্মা জানান যে ডায়ালিসিস একটি দীর্ঘ এবং মানসিকভাবে ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া। এই সময় রোগীর মনোবল দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কাউন্সেলিং এই পরিস্থিতিতে রোগীকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। কাউন্সেলর রোগীকে এটি বুঝতে সাহায্য করেন যে এই পরিস্থিতি স্থায়ী নয় এবং জীবনকে স্বাভাবিক রাখতে উপায় আছে।
কাউন্সেলর রোগীকে ইতিবাচক চিন্তা, চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কৌশল শেখান। এর ফলে রোগী তাদের পরিস্থিতি মেনে নিতে পারে এবং চিকিৎসার সাথে আরও ভালোভাবে সহযোগিতা করে। পরিবারের সদস্যদেরও মানসিক সমর্থন দেওয়ার উপায় শেখানো হয়, যাতে রোগী নিজেকে একা অনুভব না করে। নিয়মিত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে মানসিক স্থিতিশীলতা, ঘুম এবং জীবনের মানের উন্নতি হয়।
রোগী ও পরিবারের জন্য জরুরি বিষয়
ডায়ালিসিস করানো রোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে।
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়ালিসিস শিডিউল মেনে চলুন।
- জল এবং লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিন এবং সুষম খাবার গ্রহণ করুন।
- পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কথা বলতে থাকুন।
- আপনার অনুভূতিগুলি মনে চেপে রাখবেন না, কাউন্সেলরের সাথে ভাগ করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন।
এই অভ্যাসগুলির মাধ্যমে রোগী কেবল শারীরিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও শক্তিশালী থাকতে পারে।