শুভেন্দুর ঘাঁটিতে দিলীপ, উসকে উঠল জল্পনার আগুন!

শুভেন্দুর ঘাঁটিতে দিলীপ, উসকে উঠল জল্পনার আগুন!
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

বিজেপির ‘দাবাং’ নেতা দিলীপ ঘোষের তৃণমূলমুখী সম্ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা তুঙ্গে। এর মধ্যেই শুক্রবার আচমকা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে গিয়ে নতুন করে উস্কে দিলেন রাজনৈতিক ভূমিকম্পের জল্পনা। রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও চড়ল।

নতুন সভাপতির সভায় অনুপস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

তমলুক শহর ও কাঁকটিয়ায় বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে খোলাখুলি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দিলীপ ঘোষ। জানান, পার্টি আমাকে যেতে বলেনি, তাই যাইনি। নিজের অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা করে ‘পুরনো প্রশ্ন’ না করার অনুরোধও জানান সাংবাদিকদের।

কেন্দ্র ডাকেনি, নেতৃত্ব জানে— বললেন দিলীপ

জল্পনার কেন্দ্রে থাকা দিলীপ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে ডাকেনি কি না, তা আমি জানি না। নেতৃত্বই জানে। এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে ফের গুঞ্জন শুরু— তবে কি দিলীপ ঘোষ বিজেপিতে একঘরে হয়ে পড়েছেন?

বিজেপিতে থাকবেন তো দিলীপ? প্রশ্নে জবাব অধরা

গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে গুঞ্জন— দিলীপ ঘোষ কি সত্যিই বিজেপিতে থাকছেন? নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে আসছেন? এই জল্পনারই আবহে তাঁর বক্তব্য ঘিরে রাজনীতির মঞ্চ আরও উত্তপ্ত।

সস্ত্রীক মহাপ্রভু দর্শন, শুভেন্দুর এলাকায় ‘পূজা’ রাজনীতির?

এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুর জেলায় গিয়ে মহাপ্রভু মন্দিরে পূজা দিলেন দিলীপ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। সঙ্গে খিচুড়ি প্রসাদ। অনেকেই মনে করছেন, তমলুকে এই উপস্থিতি নিছক ধর্মীয় নয়, এর পেছনে রাজনৈতিক বার্তাও লুকিয়ে রয়েছে।

স্পষ্ট ভাষায় বোমা ফাটালেন বিজেপির ‘দাবাং’ নেতা

সাংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের উত্তরে কৌশলে হলেও দলীয় অভিমান ঝরে পড়ল দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব আরও প্রকট। দলের ভিতরে কোন্দলের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ইউনিয়ন রুম মামলা প্রসঙ্গেও দিলীপের তির্যক মন্তব্য

শুধু দলীয় বিষয় নয়, কলেজে ইউনিয়ন রুম বন্ধ করে দেওয়া সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশ নিয়েও মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্যে স্পষ্ট— শিক্ষাঙ্গনের অবস্থা নিয়ে তিনিও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।

রাজনীতি বদলের মুখে? দিলীপকে ঘিরে জল্পনায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি

শুভেন্দুর গড়ে দিলীপের সফর, বক্তব্য এবং দলে অবজ্ঞার অভিযোগ— সব মিলিয়ে স্পষ্ট, বঙ্গ বিজেপিতে অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন তুঙ্গে। ২০২৬ সালের আগে এই রদবদল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেদিকেই নজর সবার।

Leave a comment