দুর্গাপুজো স্পেশাল: কাটোয়ার পরাণের পান্তুয়া, স্বাদ ও ইতিহাস

দুর্গাপুজো স্পেশাল: কাটোয়ার পরাণের পান্তুয়া, স্বাদ ও ইতিহাস

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের অমোঘ পরিচয় হয়ে উঠেছে পরাণের ক্ষীরের পান্তুয়া। বহু দশক ধরে এই মিষ্টি শুধু কাটোয়ার গর্ব নয়, মিষ্টিপ্রেমীদের মন জয় করে আসছে নিরন্তর। এর সূচনা করেছিলেন সুরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু, যিনি অবিভক্ত বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলা থেকে জীবিকার সন্ধানে এসে কাটোয়ায় স্থায়ী হন। তাঁর হাত ধরেই জন্ম নেয় ক্ষীরের বিশেষ স্বাদের এই পান্তুয়া, যা আজও উৎসবের মরশুমে অগণিত মানুষকে টানে।

ইতিহাস ও উৎপত্তি

কাটোয়ার পরাণের পান্তুয়া: ১৯৪০-এর দশকে সুরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু বারোয়ারিতলায় ছোট্ট মিষ্টির দোকান খোলেন। তিনি প্রথমবার লম্বা ক্ষীরের পান্তুয়া তৈরি করেন। ধীরে ধীরে এটি স্থানীয় মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পান্তুয়া শুধু মিষ্টি নয়, বরং কাটোয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।

পান্তুয়ার বিশেষত্ব

পরাণের পান্তুয়া: ক্ষীর ও চিনি-দুধের সঠিক মিশ্রণ এটিকে স্বাদে অনন্য করে তোলে। প্রতিটি টুকরোতে প্রথাগত স্বাদ ও পরিবারের তৈরি ঐতিহ্য প্রতিফলিত হয়। এটি বিশেষ করে পুজো ও উৎসবের সময় গ্রহণ করা হয়, যা আনন্দ ও স্বাদের এক বিশেষ অভিজ্ঞতা দেয়।

জনপ্রিয়তা ও বিতরণ

পরাণের পান্তুয়া: প্রতিদিন প্রায় ২,০০০ পিস বিক্রি হয়। দেশ-বিদেশ থেকে মিষ্টিপ্রেমীরা এখানে আসে। এটি শুধুমাত্র স্থানীয় নয়, আমেরিকা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে পৌঁছে গিয়েছে। ক্রেতারা এর স্বাদ ও মানের প্রশংসা করেন।

দুর্গাপুজোর সময় গুরুত্ব

Durga Puja Special: পুজোর দিনে কাটোয়ার পরাণের পান্তুয়া খাওয়া যেন বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। এটি শুধুমাত্র মিষ্টি নয়, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত। মিষ্টিপ্রেমীদের আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়।

Durga Puja Special: পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় জনপ্রিয় পরাণের পান্তুয়া, স্বাদ ও ঐতিহ্যের প্রতীক। কয়েক দশক ধরে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের প্রিয় এই মিষ্টি। পুজোর সময় এই পান্তুয়া অবশ্যই খেতে হবে, যা সংস্কৃতি ও সুস্বাদের মিলন।

Leave a comment