ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা ভূপেশ বাঘেলের ভিলাইয়ের বাসভবনে শুক্রবার সকালে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। তাঁর ছেলে চৈতন্য বাঘেলের সঙ্গে জড়িত কথিত আবগারি কেলেঙ্কারি এবং অর্থ পাচার মামলার সূত্রে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ভূপেশ বাঘেল নিজে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে লিখেছেন, ইডি এসে গেছে। আজ বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন, তমনারে গাছ কাটার বিষয়টি তোলার ছিল, কিন্তু সাহেব আমার ভিলাইয়ের বাসভবনে ইডি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ইডি-ও এই পদক্ষেপের সত্যতা নিশ্চিত করেছে এবং জানিয়েছে যে, দলটি রায়পুর আবগারি কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত অর্থ পাচার মামলার তদন্তের অধীনে চৈতন্য বাঘেলের ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
মার্চ মাসেও হয়েছিল তল্লাশি
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, তারা এই মামলায় কিছু নতুন তথ্য পেয়েছে, যার ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এই পদক্ষেপটি প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)-এর অধীনে করা হয়েছে। এর আগে মার্চ ২০২৫-এও ইডি চৈতন্য বাঘেলের বিরুদ্ধে একই মামলায় তল্লাশি চালিয়েছিল।
ইডি-র দাবি, চৈতন্য এই কথিত আবগারি কেলেঙ্কারিতে অপরাধ থেকে অর্জিত অর্থের সুবিধাভোগী। সংস্থার মতে, এই কেলেঙ্কারির ফলে ছত্তিশগড় সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবং একটি সংগঠিত মদের সিন্ডিকেট প্রায় ২,১০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে আয় করেছে।
বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন এই পদক্ষেপে চাঞ্চল্য
ইডি-র এই তল্লাশি এমন সময়ে হয়েছে যখন ছত্তিশগড়ে বিধানসভা অধিবেশন চলছে। এতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, যাদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তারা একটি সংগঠিত মদের কেলেঙ্কারির অংশ এবং তারা অবৈধভাবে প্রচুর মুনাফা করেছে।
আপাতত এই মামলার তদন্ত চলছে এবং এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। একইসঙ্গে ভূপেশ বাঘেল এবং তাঁর ছেলে চৈতন্য বাঘেল এই পদক্ষেপের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি।