দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয় পাকিস্তানের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ১-১ সমতা

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয় পাকিস্তানের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ১-১ সমতা

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তান এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে দারুণ জয় লাভ করেছে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে খেলা এই ম্যাচে পাকিস্তান সফরকারী দলকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় এনেছে।

খেলাধুলা সংবাদ: শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৪১ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। এই জয়ের সাথে পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে। দুই দলের মধ্যে তৃতীয় ও নির্ণায়ক ম্যাচটি শনিবার খেলা হবে।

লাহোরে খেলা এই দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে ১৯.২ ওভারে ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে পাকিস্তান মাত্র ১৩.১ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে নেয়।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পতন

পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন এবং এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ সঠিক প্রমাণিত হয়। সফরকারী দলের শুরুটা খুবই খারাপ ছিল — ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সালমান মির্জা রিজা হেনড্রিক্সকে ক্লিন বোল্ড করে পাকিস্তানকে প্রথম সাফল্য এনে দেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পুরো দল ১৯.২ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে যায়। দলের কোনো ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। কেবল ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (২৫) কিছুক্ষণ টিকে থাকতে পেরেছিলেন, বাকি ব্যাটসম্যানরা একে একে প্যাভিলিয়নে ফিরতে থাকেন।

ফাহিম আশরাফ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। সালমান মির্জা ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন। নাসিম শাহ ২ উইকেট এবং আবরার আহমেদ ১ উইকেট পান। বোলারদের নিখুঁত লাইন ও লেংথের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি সংগ্রাম করতে দেখা যায়।

স্যাম আইয়ুবের বিস্ফোরক ব্যাটিং

১১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ওপেনার সাহেবজাদা ফারহান (২৮) এবং স্যাম আইয়ুব (৭১)* প্রথম উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। ফারহানকে কর্পিন বশ বোল্ড করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একমাত্র সাফল্য এনে দেন। এরপর আইয়ুব আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাটিং চালিয়ে যান এবং অধিনায়ক বাবর আজমের (১১)* সাথে মিলে পাকিস্তানকে জয়ের পথে নিয়ে যান।

স্যাম আইয়ুব মাত্র ৩৮ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ৬টি চার ও ৫টি ছক্কা ছিল। তার এই ইনিংস পাকিস্তানকে সহজেই জয় এনে দেয় এবং দর্শকদের রোমাঞ্চিত করে তোলে। বাবর আজম অন্য প্রান্ত থেকে শান্ত ব্যাটিং করে ১৮ বলে ১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। পাকিস্তান ৪১ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্য অর্জন করে নেয়।

Leave a comment