ফয়সালাবাদে পিটিআই-এর ৭৫ জন নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ড: ৯ মে দাঙ্গার মামলা

ফয়সালাবাদে পিটিআই-এর ৭৫ জন নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ড: ৯ মে দাঙ্গার মামলা

ফয়সালাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত ৯ মে, ২০২৩-এর দাঙ্গা সম্পর্কিত একটি মামলায় পিটিআই-এর ৭৫ জন নেতা ও কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ৫৯ জনকে ১০ বছর এবং ১৬ জনকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৩৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

Pakistan: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর জন্য সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। ফয়সালাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত (Anti-Terrorism Court) ৯ মে, ২০২৩-এর দাঙ্গা সম্পর্কিত একটি মামলায় দলের ৭৫ জন নেতা ও কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে। এই রায়ে পাকিস্তানের রাজনীতিতে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

৯ মে-র দাঙ্গার মামলা

৯ মে, ২০২৩ তারিখটি পাকিস্তানের রাজনীতির জন্য একটি কালো দিন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সেই সময় ইমরান খানকে গ্রেফতার করার পর দেশজুড়ে তাঁর সমর্থকেরা হিংসাত্মক বিক্ষোভ করে। অনেক জায়গায় সরকারি ও সামরিক ভবনে হামলা চালানো হয়। পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়। এই বিক্ষোভের সময় পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রবীণ নেতা এবং পাঞ্জাবের সভাপতি রানা সানাউল্লাহর বাড়িতেও হামলা করা হয়েছিল।

আদালতের রায়, ৭৫ জনকে সাজা

ফয়সালাবাদের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আদালত ১০৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৭৫ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এদের মধ্যে ৫৯ জনকে ১০ বছর করে এবং ১৬ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ৩৪ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে।

আদালতের রায় অনুযায়ী, যে অভিযুক্তরা ১০ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছে, তারা এর আগে আইএসআই ভবনে হামলার মামলায় একই সাজা পেয়েছে। দুটি সাজা একসঙ্গে চলবে।

কোন কোন বড় নেতা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন

সাজা পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পিটিআই-এর অনেক বড় নেতা রয়েছেন। এদের মধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা ওমর আইয়ুব, সিনেটের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শিবলি ফারাজ, প্রাক্তন সাংসদ জারতাজ গুল, আহমেদ চাট্টা, আশরাফ খান সোহনা এবং শেখ রশিদ শফিক (প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদের ভাইপো)-এর নাম উল্লেখযোগ্য। এই সকল নেতা ৯ মে-র হিংসার সময় রানা সানাউল্লাহর বাড়িতে হামলার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

কারা পেলেন রেহাই

আদালত প্রাক্তন তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির ছেলে জয়ন কুরেশিকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে। আদালত মনে করে যে তাদের বিরুদ্ধে কোনো জোরালো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

পিটিআই এই রায়কে ষড়যন্ত্র বলছে

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি এই রায়ের তীব্র নিন্দা করেছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের तहत এই রায় দেওয়া হয়েছে। পিটিআই নেতাদের দাবি, মিথ্যা সাক্ষী এবং মনগড়া মামলার ভিত্তিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে। দলের দাবি, ইমরান খান এবং তাঁর সমর্থকদের রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য সরকার এবং আদালত একসঙ্গে ষড়যন্ত্র করছে।

ইমরান খানের জন্য কেন বাড়ছে সমস্যা

ইমরান খান আগে থেকেই একাধিক আইনি মামলার সম্মুখীন। তাঁর দলের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পিটিআই-এর অনেক শীর্ষ নেতাকে জেলে যেতে হয়েছে অথবা তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরে গেছেন।

Leave a comment