ফাজিলকায় অটো চালকের গোপনাঙ্গে বেলন ঢুকিয়ে পাশবিক নির্যাতন, ভাইরাল ৮ মিনিটের ভিডিও

ফাজিলকায় অটো চালকের গোপনাঙ্গে বেলন ঢুকিয়ে পাশবিক নির্যাতন, ভাইরাল ৮ মিনিটের ভিডিও

পাঞ্জাবের ফাজিলকায় একজন অটো চালকের সঙ্গে এক মহিলা এবং তার ছেলে অমানবিক কাজ করেছে, তার গোপনাঙ্গে বেলন ঢুকিয়ে ৮ মিনিটের একটি ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছে। আক্রান্ত ব্যক্তি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

ফাজিলকা: পাঞ্জাবের ফাজিলকা জেলায় একটি হতবাক করে দেওয়ার মতো ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে একজন অটো চালক চন্দ্র প্রকাশের সঙ্গে এক মহিলা এবং তার ছেলে অমানবিক কাজ করেছে। অভিযুক্ত দুজনেই আক্রান্ত ব্যক্তির গোপনাঙ্গে কাঠের বেলন ঢুকিয়ে তাকে গুরুতরভাবে আহত করেছে এবং এই ঘটনার সাড়ে আট মিনিটের একটি ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছে। গুরুতর অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

ঘরে বন্ধ করে পাশবিকতা

আক্রান্ত অটো চালক চন্দ্র প্রকাশ অভিযোগ করেছেন যে, মহিলা এবং তার ছেলে তাকে নিজেদের বাড়িতে ডেকে ঘরে বন্ধ করে দেয়। সেখানে দুজনেই তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। অভিযুক্তরা দীর্ঘক্ষণ তার গোপনাঙ্গে কাঠের বেলন ঢুকিয়ে রেখেছিল, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে।

ঘটনার ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায় যখন অভিযুক্তরা এই সময়ে সাড়ে আট মিনিটের একটি ভিডিও বানায়। এরপরে এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়া হয়, যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার পরিবারের মানসিক আঘাত আরও বেড়ে যায়।

টাকার বিবাদ ঘটনার জন্ম দিয়েছে 

তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত অটো চালক মহিলাটির সঙ্গে দেখা করতে যেত। অটো ইউনিয়নের সভাপতি অমরীক সিং জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত ব্যক্তি এবং অভিযুক্ত মহিলার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্ব ছিল। যদিও, টাকার লেনদেন নিয়ে ঝগড়া হয় এবং এই বিবাদই এই জঘন্য ঘটনার জন্ম দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে যে, আক্রান্ত ব্যক্তি মহিলাটির সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল। বিবাদের কারণে অভিযুক্ত মহিলা এবং তার ছেলে এই অমানবিক কাজটি করে। ঘটনার ভয়াবহতা এবং ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কারণে বিষয়টি দ্রুত মিডিয়া এবং সমাজে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।

আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা এবং হাসপাতালে ভর্তি

ঘটনার পরপরই আক্রান্ত চন্দ্র প্রকাশকে গুরুতর অবস্থায় ফাজিলকার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তাররা বলছেন যে, আঘাতের তীব্রতার কারণে তার চিকিৎসা অত্যন্ত সংবেদনশীল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, তার অবস্থা স্থিতিশীল, তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।

হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন আক্রান্ত ব্যক্তি পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দেয়। ভিডিও এবং অন্যান্য প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ মামলার গভীর তদন্ত শুরু করেছে। হাসপাতালে আক্রান্ত ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মহিলা এবং ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের 

সিটি থানার এসএইচও জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত ব্যক্তির বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। পুলিশ মহিলা এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং শীঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কর্মকর্তারা বলেছেন যে, এটি গুরুতর অপরাধের বিভাগে পড়ে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ মিডিয়া এবং সমাজকে আশ্বাস দিয়েছে যে, আক্রান্ত ব্যক্তিকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই সাথে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ভিত্তিতেও তদন্ত চলছে যাতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা যায় এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।

Leave a comment