দিল্লির পাঁচ বছরের দাবাড়ু আরিনি লাহোটি ইতিহাস তৈরি করেছেন। এত অল্প বয়সে তিনি ক্লাসিক্যাল, র্যাপিড এবং ব্লিটজ - এই তিনটি ফরম্যাটেই FIDE রেটিং অর্জন করে ভারতের কনিষ্ঠতম দাবা তারকা হওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর এই কৃতিত্ব দেশজুড়ে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
দাবায় FIDE রেটিং: দিল্লির বাসিন্দা পাঁচ বছরের আরিনি লাহটি ২০২৩ সালের অগাস্টে এক বিরাট ইতিহাস রচনা করেছেন। এই খুদে দাবাড়ু ক্লাসিক্যাল, র্যাপিড এবং ব্লিটজ - তিনটি ফরম্যাটেই FIDE রেটিং অর্জন করে ভারতের কনিষ্ঠতম দাবা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। আরিনির বর্তমান রেটিং ক্লাসিক্যালে ১৫৫৩, র্যাপিডে ১৫৫০ এবং ব্লিটজে ১৪৯৮। তিনি এই কৃতিত্বের মাধ্যমে উদয়তি ভট্টাচার্য্যের পুরনো রেকর্ড ভেঙে ভারতীয় দাবা জগতে এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন।
মাত্র পাঁচ বছরে FIDE রেটিং প্রাপ্ত কনিষ্ঠতম দাবা খেলোয়াড়
দিল্লির পাঁচ বছরের দাবাড়ু আরিনি লাহটি খেলাধুলার জগতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তিনি ক্লাসিক্যাল, র্যাপিড এবং ব্লিটজ - তিনটি ফরম্যাটেই FIDE রেটিং অর্জন করে ভারতের কনিষ্ঠতম দাবা খেলোয়াড় হওয়ার গৌরব লাভ করেছেন। তাঁর বর্তমান রেটিং ক্লাসিক্যালে ১৫৫৩, র্যাপিডে ১৫৫০ এবং ব্লিটজে ১৪৯৮।
আরিনির এই কৃতিত্ব তাঁকে দেশজুড়ে তরুণ প্রতিভাদের জন্য অনুপ্রেরণা করে তুলেছে। ২০২৩ সালের অগাস্টে অর্জিত এই রেকর্ডটি উদয়তি ভট্টাচার্য্যের পুরনো রেকর্ড ভাঙতে সক্ষম হয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই দাবায় আগ্রহ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে জন্ম নেওয়া আরিনি ছোটবেলা থেকেই দাবা খেলায় গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন। মাত্র দুই বছর বয়সে তিনি টিভিতে বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনকে খেলতে দেখেন এবং সেই থেকেই এই খেলাটিকে তিনি আপন করে নেন। আরিনির বাবা, সুরেন্দ্র লাহটি, যিনি নিজেও একজন দাবাড়ু এবং ব্লুবেলস স্কুল ইন্টারন্যাশনালের প্রশিক্ষক, তিনিই তাঁকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
সুরেন্দ্র লাহটির বিশ্বাস, অল্প বয়সে খেলাটিকে আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করাই সাফল্যের চাবিকাঠি। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে আরিনির পড়াশোনা, দাবা এবং অন্যান্য খেলার মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।
আরিনির দাবা যাত্রা কখন শুরু হয়েছিল
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে আরিনি লাহটি ১১টি ট্রফি এবং বেশ কয়েকটি পদক জিতে তাঁর প্রতিভা প্রমাণ করেছেন। তিনি অনূর্ধ্ব-৭, অনূর্ধ্ব-৯ এবং অনূর্ধ্ব-১১ বিভাগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। লকডাউনের সময় আরিনি তাঁর বাবাকে অনলাইনে (খেলা) শিখতে দেখেছিলেন এবং নিজে থেকেই দাবার ছক সাজাতে শুরু করেছিলেন।
এই প্রক্রিয়াটি তাঁর খেলার কৌশল এবং বোঝাপড়াকে আরও শক্তিশালী করেছে। তাঁর রেকর্ড দেখিয়ে দিয়েছে যে বয়স কেবল একটি সংখ্যা, প্রতিভা এবং নিষ্ঠার ক্ষেত্রে নয়।
ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার এবং গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার লক্ষ্য
সুরেন্দ্র লাহটির মতে, আরিনির লক্ষ্য হল ভারতের কনিষ্ঠতম ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার (IM) এবং গ্র্যান্ডমাস্টার (GM) হওয়া। পরিবার এবং কোচের পরিকল্পনা হল আরিনি যেন খেলার উন্নতি করতে থাকে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করে।