সুপার ওভারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রুদ্ধশ্বাস জয়, সিরিজে সমতা

সুপার ওভারে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রুদ্ধশ্বাস জয়, সিরিজে সমতা
সর্বশেষ আপডেট: 13 ঘণ্টা আগে

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল সুপার ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ 1-1 সমতায় নিয়ে এসেছে। 

স্পোর্টস নিউজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ মঙ্গলবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক রোমাঞ্চকর ম্যাচে সুপার ওভারে জয়লাভ করে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ 1-1 সমতায় ফিরিয়ে এনেছে। প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল নির্ধারিত 50 ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে মাত্র 213 রান তুলতে সক্ষম হয়। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজও একই রান করলে ম্যাচটি সুপার ওভারে গড়ায়। 

সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে এক উইকেট হারিয়ে 10 রান তোলে, যার জবাবে বাংলাদেশ দল মাত্র 9 রান করতে সক্ষম হয়। এভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটি রোমাঞ্চকর জয় অর্জন করে। এখন সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে নির্ণায়ক, যেখানে বিজয়ী দল সিরিজ নিজেদের করে নেবে।

দুই দলের লড়াই: টাই হলো ম্যাচ

প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল নির্ধারিত 50 ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে মাত্র 213 রান তুলতে সক্ষম হয়। পিচের ফাটল এবং স্পিন বোলিং ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করা অত্যন্ত কঠিন করে তোলে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলও পুরো 50 ওভার খেলে 213 রানই করতে পারে, যার ফলে ম্যাচটি টাই হয় এবং সুপার ওভারের মাধ্যমে ফয়সালা করা হয়।

সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে এক উইকেট হারিয়ে 10 রান তোলে। এর জবাবে বাংলাদেশ দল মাত্র 9 রান করতে সক্ষম হয় এবং এভাবে ক্যারিবিয়ান দল এক রানে ম্যাচটি জিতে নেয়। এই জয়ের সাথে তিন ম্যাচের সিরিজ এখন 1-1 সমতায় পৌঁছেছে। এখন তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি সিরিজের নির্ণায়ক হবে।

মিরপুরের এই পিচ পুরো ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল। পিচের পৃষ্ঠে গভীর ফাটল ছিল, যার কারণে বল অনিয়মিতভাবে ঘুরছিল। ব্যাটসম্যানদের জন্য ফুটওয়ার্ক এবং শট নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন প্রমাণিত হয়। মজার ব্যাপার হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের পুরো 50 ওভার কেবল তাদের স্পিন বোলারদের দিয়েই করিয়েছিল, যা কোনো পূর্ণ সদস্য দলের ইতিহাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথম ঘটল।

বাংলাদেশের ইনিংস: রিশাদ হোসেন সম্মান বাঁচালেন

বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনার সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ 45 রান করেন। তিনি 89 বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ধীরগতির কিন্তু সংযত ইনিংস খেলেন। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ দলকে সামলে 58 বলে অপরাজিত 32 রান করেন, অন্যদিকে উইকেটকিপার নুরুল হাসান 23 রান অবদান রাখেন।

শেষ ওভারে রিশাদ হোসেন 14 বলে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কা মেরে অপরাজিত 39 রান করেন এবং দলকে একটি সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন। তার ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ অলআউট হওয়া থেকে বেঁচে যায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস: শাই হোপ আবার অধিনায়কোচিত ভূমিকা পালন করলেন

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা খারাপ ছিল। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ব্র্যান্ডন কিং কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান। এরপর অ্যালেক্স আথানাজে (28) এবং কেসি কার্টি (35) কিছুটা জুটি গড়েন, কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে। এক প্রান্তে অধিনায়ক শাই হোপ অবিচল ছিলেন এবং দুর্দান্ত ধৈর্য দেখান। তিনি 67 বলে অপরাজিত 53 রান করেন এবং দলকে সুপার ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান। হোপের এই ইনিংস ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করে 10 রান তোলে। বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়ক মিরাজ এবং রিশাদ হোসেন মাঠে নামেন, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা সঠিক লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে রানের গতি নিয়ন্ত্রণ করে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ মাত্র 9 রান করতে পারে এবং এক রানে ম্যাচটি হেরে যায়।

Leave a comment