স্বাস্থ্য টিপস: টকদই এমন একটি পুষ্টিকর খাবার যা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। রোজকার খাদ্যতালিকায় টকদই রাখলে হজমশক্তি বাড়ে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি টকদইয়ের সঙ্গে একেবারেই মানানসই নয়। এই খাবারগুলির সঙ্গে দই খেলে হজমের সমস্যা, গ্যাস ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ে।
পেঁয়াজ ও দইয়ের মিশ্রণ শরীরে আনতে পারে বিপদ
অনেকে পেঁয়াজ দিয়ে রায়তা বানিয়ে থাকেন, কিন্তু চিকিৎসকদের মতে এটি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। পেঁয়াজ ও দই একসঙ্গে খেলে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং হজমে সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন এই অভ্যাসে ত্বকের সমস্যাও হতে পারে।
সাইট্রিক ফল ও দই একসঙ্গে নয়
লেবু, কমলালেবু বা অন্য সাইট্রিক ফলের সঙ্গে দই খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে পেটের অস্বস্তি ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে। টক ফলের বদলে আপেল, কলা বা পেঁপে জাতীয় ফল দইয়ের সঙ্গে খাওয়াই ভালো।
দুধ ও দই একসঙ্গে খাওয়া বিপজ্জনক
দুধ থেকেই দই তৈরি হয়, কিন্তু দুধ ও দই একসঙ্গে খাওয়া একদম উচিত নয়। দুই খাবারেই ফ্যাট ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় তা একসঙ্গে হজম হতে সময় নেয়। ফলে বুক জ্বালা, গা গোলানো ও পেটব্যথার সমস্যা বাড়ে।
চা ও দই—খাওয়ার পর পর নয়
দই খাওয়ার পর চা পান করলে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। বদহজম, পেট খারাপ ও বমির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অন্তত আধঘণ্টা ব্যবধান রেখে চা পান করা উচিত।
ভাজাভুজির সঙ্গে দই নয়
ভাজা বা তেলে তৈরি খাবারের সঙ্গে টকদই খেলে পেট ভারী লাগে এবং অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। অনেকেই পরোটা বা পুরি খাওয়ার সময় টকদই খান, যা বদহজমের অন্যতম কারণ হতে পারে।
দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও সব খাবারের সঙ্গে মানিয়ে নেয় না। পেঁয়াজ, দুধ, চা, তেলে ভাজা খাবার বা সাইট্রিক ফলের সঙ্গে টকদই খেলে শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গ্যাস, বদহজম, এমনকি পেটব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।