গান্ধী জয়ন্তীতে মহারাষ্ট্রের সমাজবাদী নেতা আবু আজমি বিজেপি এবং আরএসএস-এর উপর আক্রমণ শানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে এই সংগঠনগুলি সংবিধান মেনে চলে না এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে নীতি গ্রহণ করে।
মুম্বাই: মহারাষ্ট্র সমাজবাদী পার্টির প্রধান আবু আজমি গান্ধী জয়ন্তীর উপলক্ষে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ করে বিজেপি এবং আরএসএস-এর উপর তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে বিজেপি যা কিছু করবে, তা মুসলমানদের বিরুদ্ধেই হবে, কারণ দলটি কোনো মুসলমানকে টিকিট দেয়নি এবং মন্ত্রীও করেনি।
আবু আজমি সাংবাদিকদের বলেছেন, “মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষ ছড়ানোর কাজ ক্রমাগত চলছে। দেশের স্বাধীনতায় আরএসএস-এর কোনো অবদান ছিল না এবং এটি আজকের শিশুদের বোঝা উচিত।”
শিশুদের ইতিহাস এবং দেশপ্রেম শেখানোর প্রয়োজন
আবু আজমি আরও বলেছেন যে বর্তমান সময়ে হিন্দু-মুসলিম বিবাদ এবং ঘৃণা ছড়ানোর মানসিকতা শিশুদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। তাঁর মতে, এআই এবং আধুনিক শিক্ষার যুগে শিশুদের দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সত্যতা জানা উচিত।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, “শিশুদের জানা উচিত যে দেশের স্বাধীনতার জন্য কারা আত্মত্যাগ করেছেন। যাতে তারা ইতিহাসের সঠিক তথ্য পায় এবং ঘৃণা ছড়ানো মানুষের আসল রূপ প্রকাশ পায়।”
আবু আজমি আরএসএস-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন
আবু আজমি আরএসএস-কে লক্ষ্য করে বলেছেন যে এই সংগঠন সংবিধান মেনে চলে না এবং বহু বছর ধরে জাতীয় পতাকা তেরঙ্গা উত্তোলন করেনি। তাঁর বক্তব্য ছিল যে আরএসএস গোটা দেশকে একই রঙে রাঙানোর চেষ্টা করছে।
“আজ প্রতিটি শিশুর সংবিধান পড়া প্রয়োজন, যাতে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে। ইতিহাসকে সঠিকভাবে জানলে তবেই মানুষ বুঝতে পারবে যে কারা দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রকৃত সংগ্রাম করেছে,” তিনি বলেছেন।
আরএসএস এবং ব্রিটিশদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন
আবু আজমি তাঁর বিবৃতিতে এই অভিযোগও করেছেন যে আরএসএস-এর লোকেরা জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ব্রিটিশদের কাছে চিঠি লিখে স্বদেশী আন্দোলনকে ব্যাহত করার চেষ্টা করত। তিনি বলেছেন যে “তারা ব্রিটিশদের কাছ থেকে পেনশন পেত। এই ভিত্তিতে স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএস-এর অবদান নগণ্য।”
আবু আজমির এই বিবৃতি কেবল রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই বিবেচিত হচ্ছে না, বরং এটি গণমাধ্যম এবং জনগণের মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হিসেবেও দেখা হচ্ছে।