গ্যাস-অম্বল শুধু খাবারের কারণে নয়, কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসও দায়ী

গ্যাস-অম্বল শুধু খাবারের কারণে নয়, কিছু দৈনন্দিন অভ্যাসও দায়ী

Gas & Digestion: হজমের সমস্যার কারণে অনেক বাঙালির দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়। সাম্প্রতিক পুষ্টি গবেষণায় দেখা গেছে, গ্যাস-অম্বলের মূল কারণ শুধু মশলাদার বা বাইরের খাবার নয়। বিশেষ করে সকালের প্রাতরাশ বাদ দেওয়া, কম ফাইবারযুক্ত খাদ্য গ্রহণ এবং খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোয়া এই সমস্যা বাড়ায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, সঠিক অভ্যাস এবং ছোট কিছু পরিবর্তনেই পেটের গণ্ডগোল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

গ্যাস-অম্বলের নেপথ্য কারণ

গ্যাস-অম্বল অনেক সময় আমরা ভাবি শুধুই বাইরে খাওয়ার কারণে। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসও এই সমস্যার মূল। অন্ত্রে গ্যাস তৈরি হয় এবং হজম ব্যাহত হয়, যা পেটের ব্যথা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এই সমস্যায় ভুগতে গিয়ে অনেকে অ্যান্টাসিডে নির্ভর করেন, কিন্তু মূল সমাধান হলো অভ্যাস পরিবর্তন।

সকালে প্রাতরাশ না খাওয়া

সকালের খাবারে সাধারণত দুধ, ফল, দানাশস্য থাকে, যা ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রাতরাশ না করলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি কমে যায় এবং হজম শক্তি দুর্বল হয়। নিয়মিত প্রাতরাশ গ্রহণ করলে পেট সুস্থ থাকে এবং গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমে।

ফাইবার কম খাওয়া

অনেকে ওজন কমানোর জন্য কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি প্রোটিন খেয়ে থাকেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, কম ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা কমে যায়। এর ফলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি হজম সমস্যাও দেখা দেয়। সবজি, ফল এবং দানাশস্য গ্রহণ করলে ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয় এবং গ্যাস কমে।

খাওয়ার পর ঘুমোয়া

দুপুর বা রাতে খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোলে বদহজম, বুকজ্বালা, অম্বল ও ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, খাওয়ার পর অন্তত ৩ ঘণ্টা ঘুমানো এড়ানো উচিত। প্রয়োজনে হালকা হাঁটাহাঁটি করলে হজম ভালো হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কমে।

দৈনন্দিন ছোট সতর্কতা

খাবারের সময় ধীরে ধীরে খাওয়া

অতিরিক্ত মশলা বা তৈলাক্ত খাবার কমানো

পর্যাপ্ত পানি পান করা

হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করা

এই অভ্যাসগুলো নিয়মিত মেনে চললে গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Gas & Digestion: গ্যাস-অম্বল শুধু বাইরের খাবার খাওয়ার কারণে হয় না। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, প্রাতরাশ না খাওয়া, কম ফাইবারযুক্ত খাবার এবং খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোয়া কিছু প্রধান কারণ। দৈনন্দিন জীবনেও কিছু সতর্কতা নিলে পেটের সমস্যার ঝুঁকি অনেক কমানো সম্ভব।

 

Leave a comment