গাজা সংঘাতের মধ্যে ইজরায়েলে বন্দিদের মুক্তি নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। পরিবার এবং নাগরিকরা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।
Israel Protests: ইজরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ শুরু করেছেন। গাজায় আটকে থাকা মানুষদের নিরাপদে মুক্তির দাবিতে পুরো দেশে বিক্ষোভ বাড়ছে। ভিড় সামলাতে পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে।
গাজা যুদ্ধ এবং বন্দিদের বিষয়
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চলছে। গাজায় ক্রমাগত হামলার মধ্যে এখন বন্দিদের বিষয়টি একটি বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস অনেক মানুষকে বন্দী করে। ইজরায়েলের দাবি, এদের মধ্যে প্রায় ২০ জন এখনও জীবিত আছেন। বন্দিদের পরিবারের আশঙ্কা, পরিস্থিতি খারাপ হলে তাদের জীবন বিপন্ন হতে পারে।
বন্দিদের পরিবারের ক্ষোভ
সম্প্রতি একটি ভিডিও सामने এসেছে যেখানে এক বন্দি এভ্যাতার ডেভিডকে বাধ্য হয়ে নিজের কবর খুঁড়তে দেখা গেছে। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুরো ইজরায়েলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বন্দি এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য, যুদ্ধ জেতার মূল্য বন্দিদের জীবন হতে পারে না।
পুরো ইজরায়েলে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলন
বিক্ষোভ শুধু জেরুজালেম বা তেল আভিভে সীমাবদ্ধ নয়। দেশজুড়ে কয়েকশ’ স্থানে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। বিক্ষোভকারীরা রাজনীতিবিদদের বাসভবন, সামরিক সদর দপ্তর এবং অনেক প্রধান হাইওয়ে অবরোধ করেছেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করেছে এবং এ পর্যন্ত ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সমাজের সমর্থন পাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা
বন্দিদের পরিবারের এই আন্দোলনে সাধারণ নাগরিকরাও সমর্থন জানাচ্ছেন। অনেক রেস্তোরাঁ ও সিনেমা হল সংহতি জানিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। তেল আভিভের বন্দি চত্বরে জমা হওয়া लोगজনেরা বলেছেন, শুধুমাত্র সামরিক চাপের মাধ্যমে বন্দিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আপসই এর একমাত্র পথ।
ইজরায়েল সরকারের সমস্যা
ইজরায়েল সরকার এই মুহূর্তে দ্বিমুখী চাপে রয়েছে। একদিকে সেনা গাজায় হামাসের উপর ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে, অন্যদিকে নিজেদের নাগরিকদের বিক্ষোভের सामना করতে হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, সরকারের উচিত যুদ্ধ থামিয়ে বন্দিদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য
ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী গিডিওন সার সম্প্রতি দাবি করেছেন যে গাজায় হামাস বন্দিদের ক্ষুধার্ত রাখছে। তিনি বলেছেন যে হামাস জঙ্গিরা ভালো খাবার মাংস, মাছ এবং সবজি খাচ্ছে, जबकि বন্দিরা কঠিন পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে। সার আরও বলেন যে ইজরায়েল গাজায় প্রচুর পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে, কিন্তু হামাস তা ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রি করছে और मुनाफा कमा रहा है।